আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ফের বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (১৬ জুন) ভোরে এ হামলা চালায় দখলদার বাহিনী।
ইসরায়েলের দাবি, ফিলিস্তিন থেকে আগুন বেলুন ছোড়ার পাল্টা জবাবে এ হামলা চালায় তারা। তবে এ হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পরে এক বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানায়, গাজা সীমান্ত থেকে অন্তত ২০টি আগুন বেলুন ছোড়া হয় ইসরায়েলে। এর প্রতিবাদে এ হামলা চালায় তারা। দখলদার বাহিনীর দাবি, হামাসকে লক্ষ্য করে তারা এ হামলাটি চালিয়েছে। খবর বিবিসির।
এর আগে টানা ১১ দিনের সংঘাতের পর গত ২১ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস। ওই সংঘাতে প্রায় ২৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর মধ্যে ৬৬ জনই শিশু। অপরদিকে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলে রকেট হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। তবে হতাহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।
সম্প্রতি দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করেছে ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী জামিনা পার্টির নাফতালি বেনেট। ফলে সমাপ্ত হলো বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসন।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের উগ্রপন্থী ইহুদিবাদীরা পবিত্র জেরুজালেম আল-কুদস শহরে পতাকা মিছিল করে। এই নিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণ ও ইহুদিবাদীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর মধ্যেই গাজায় বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল।
ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা এবং খান ইউনূস শহরে তাদের জঙ্গিবিমানগুলো হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে- যেসব জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো হামাস সামরিক কাজে ব্যবহার করত।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। হামাস বা গাজার অন্য প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো কি ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে তাও স্পষ্ট নয়। তবে হামাসের একজন মুখপাত্র টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, তাদের প্রতিরোধ লড়াই অব্যাহত থাকবে এবং দখলদাররা পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের অধিকার রক্ষা করে যাবেন।