ঢাকা ১১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেজান জুসের মালিক আবুল হাসেম ও তার ছেলেসহ গ্রেফতার ৮

জাতীয় ডেস্কঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) লাগা আগুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান-এমডিসহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (১০ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস বলেছে, ভবন নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে। ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। আমরা মনে করি এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনায় সরাসরি হত্যা মামলা দায়ের করেছি। ইতোমধ্যে মালিক পক্ষ ও ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সিও, ডিরেক্টর, কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সিকিউরিটি ইনচার্জ। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কেউ থাকলে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।  

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যে বা যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, মরদেহগুলো থেকে ডিএনএর স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ যারা আছেন তাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি ও সন্তানের সবার ডিএনএ নমুনা কালেক্ট করেছি। শিগগিরই আমরা নমুনা পরীক্ষা করে মরদেহগুলো হস্তান্তর করতে পারবো।

সেজান জুস কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা হত্যা মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  

তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতার আটজন হলেন- সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১), শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩), মো. সালাউদ্দিন (৩০)।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২ প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

সেজান জুসের মালিক আবুল হাসেম ও তার ছেলেসহ গ্রেফতার ৮

আপডেট সময় ১০:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) লাগা আগুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান-এমডিসহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার (১০ জুলাই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস বলেছে, ভবন নির্মাণে ত্রুটি রয়েছে। ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। আমরা মনে করি এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনায় সরাসরি হত্যা মামলা দায়ের করেছি। ইতোমধ্যে মালিক পক্ষ ও ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সিও, ডিরেক্টর, কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সিকিউরিটি ইনচার্জ। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও কেউ থাকলে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।  

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যে বা যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এসপি জায়েদুল আলম বলেন, মরদেহগুলো থেকে ডিএনএর স্যাম্পল নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ যারা আছেন তাদের বাবা-মা, দাদা-দাদি ও সন্তানের সবার ডিএনএ নমুনা কালেক্ট করেছি। শিগগিরই আমরা নমুনা পরীক্ষা করে মরদেহগুলো হস্তান্তর করতে পারবো।

সেজান জুস কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা হত্যা মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  

তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতার আটজন হলেন- সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১), শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩), মো. সালাউদ্দিন (৩০)।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২ প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।