ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যানসার প্রতিরোধ করে পাকা পেঁপে

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে পাকা পেঁপের জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী হলো পেঁপে। তা কাঁচা হোক কিংবা পাকা। সুমিষ্ট পাকা পেঁপে রং, সুবাস আর স্বাদে অতুলনীয়। পুষ্টিগুণের জন্য বিশ্বে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে পেঁপে একটি অন্যতম খাবার। হালকা ক্ষুধা মেটাতে পাকা পেঁপে হতে পারে মজাদার নাস্তা।

পেঁপের উৎসেচক যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সেই কারণেই খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পেট পরিষ্কার হয় আর সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও কমে। পাকা পেঁপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে যেমন স্বাস্থ্যও ভালো থাকে তেমনই চুলের জন্যও খুব ভালো হলো পেঁপে। পেঁপে মিষ্টি হলেও এতে থাকে না কোনও ক্যালোরি। ফলে ওজনও কমে। আর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব ভালো। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন পেঁপে। এছাড়াও পেঁপের যে সমস্ত উপকারিতা আছে তা হলো-

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে ৭.২ গ্রাম শর্করা, ৩২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ০.৮ গ্রাম আঁশ, ০.৬ গ্রাম আমিষ, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৬.০ মি.গ্রা. সোডিয়াম, ৬৯ মি.গ্রা. পটাসিয়াম ও ০.৫ মি.গ্রাম আয়রন থাকে। এছাড়াও এতে কিছু পরিমাণে ভিটামিন ই, বিটাক্যারটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীর ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। পেঁপের মধ্যে ক্যালোরি থাকে মাত্র ৫৯। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৫ গ্রাম, ফাইবার ৩ গ্রাম, থাকে ভিটামিন এ, সি। থাকে লাইকোপোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের জন্য খুবই ভালো। সেই সঙ্গে পেশিও শিথিল হয়।

পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। যা আমাদের স্ট্রেস কমায়। ঘুম ভালো হয়। অ্যালঝাইমার্সের হাত থেকে রক্ষা করে। আর যার ফলে অনেক কঠিন রোগের হাত থেকে রক্ষা পায় শরীর। সেই সঙ্গে ক্যানসারের মতো রোগের প্রকোপও কম হয় পেঁপে খেলে।

পেঁপেতে থাকে লাইকোপোপোন ও ভিটামিন সি। যা আমাদের হার্টের জন্য বেশ ভালো। যা আমাদের খারাপ কোলেস্টেরলের হাত থেকে রক্ষা করে। যার ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এছাড়াও শরীরের যে কোনও রকম জ্বালা, প্রদাহ কমাতেও ভালো কাজ করে পেঁপে।

গ্যাস, অম্বল হজমের সমস্যায় অনেকে ভোগেন। প্রতিদিন পেঁপে সেদ্ধ করে খেলে কিংবা ডালে পেঁপে দিয়ে খেলে সেই সমস্যা কিন্তু অনেক কম হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও ভালো ওষুধ হল পেঁপে। পেঁপের বীজ কিন্তু আলসারের সমস্যার জন্য খুবই ভালো।

অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন তিনবার পেপে খেলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বয়স্কদের মধ্যে দৃষ্টি ক্ষতি প্রাথমিক কারণ, প্রতিদিনের খাবারে তলনামূলক ভাবে কম পুস্টি গ্রহণ করা। পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভাল এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই এর উপস্থিতির কারণে।

পেঁপেতে কোনো ক্যালোরি নেই। আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা খুব ভালো ফল পাবেন যদি প্রতিদিন একবাটি করে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই অন্যান্য রোগের সম্ভাবনাও কমে যায়।

প্রতিদিন পেঁপে খেলে ইউটেরাসের পেশি ভালো করে কাজ করে। আর পেঁপের মধ্যে থাকা ক্যারোটিন শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। এই দুই এর প্রভাবে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ ভালো হয়। প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ইস্ট্রোজেন উৎপন্ন হলে পিরিয়ডসের সমস্যা অনেকটাই মিটে যায় এবং ধারাবাহিকতাও বজায় থাকে।

চুলের জন্যও পেঁপে খুব উপকারী। যে কারণে পেঁপে মেশানো শ্যাম্পুর প্রচলন বেশি। এছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে চুলে মাখলে গোড়া শক্ত হয়। চুলের শাইনিং ভাব বজায় থাকে। এছাড়াও মাথায় উঁকুনের সমস্যা হলে পেঁপে ভালো কাজ করে।

পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনোক্সিড যা দেহে ক্যানসারের কোষ তৈরিতে বাঁধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপের বিটা কেরোটিন উপাদান কোলন ক্যানসার, প্রোসটেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

ক্যানসার প্রতিরোধ করে পাকা পেঁপে

আপডেট সময় ০৬:০১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ

গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে পাকা পেঁপের জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী হলো পেঁপে। তা কাঁচা হোক কিংবা পাকা। সুমিষ্ট পাকা পেঁপে রং, সুবাস আর স্বাদে অতুলনীয়। পুষ্টিগুণের জন্য বিশ্বে জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে পেঁপে একটি অন্যতম খাবার। হালকা ক্ষুধা মেটাতে পাকা পেঁপে হতে পারে মজাদার নাস্তা।

পেঁপের উৎসেচক যাতে সঠিকভাবে কাজ করে সেই কারণেই খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। পেট পরিষ্কার হয় আর সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও কমে। পাকা পেঁপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এতে যেমন স্বাস্থ্যও ভালো থাকে তেমনই চুলের জন্যও খুব ভালো হলো পেঁপে। পেঁপে মিষ্টি হলেও এতে থাকে না কোনও ক্যালোরি। ফলে ওজনও কমে। আর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও খুব ভালো। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন পেঁপে। এছাড়াও পেঁপের যে সমস্ত উপকারিতা আছে তা হলো-

প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা পেঁপেতে ৭.২ গ্রাম শর্করা, ৩২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ০.৮ গ্রাম আঁশ, ০.৬ গ্রাম আমিষ, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ৬.০ মি.গ্রা. সোডিয়াম, ৬৯ মি.গ্রা. পটাসিয়াম ও ০.৫ মি.গ্রাম আয়রন থাকে। এছাড়াও এতে কিছু পরিমাণে ভিটামিন ই, বিটাক্যারটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীর ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। পেঁপের মধ্যে ক্যালোরি থাকে মাত্র ৫৯। এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট থাকে ১৫ গ্রাম, ফাইবার ৩ গ্রাম, থাকে ভিটামিন এ, সি। থাকে লাইকোপোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের জন্য খুবই ভালো। সেই সঙ্গে পেশিও শিথিল হয়।

পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। যা আমাদের স্ট্রেস কমায়। ঘুম ভালো হয়। অ্যালঝাইমার্সের হাত থেকে রক্ষা করে। আর যার ফলে অনেক কঠিন রোগের হাত থেকে রক্ষা পায় শরীর। সেই সঙ্গে ক্যানসারের মতো রোগের প্রকোপও কম হয় পেঁপে খেলে।

পেঁপেতে থাকে লাইকোপোপোন ও ভিটামিন সি। যা আমাদের হার্টের জন্য বেশ ভালো। যা আমাদের খারাপ কোলেস্টেরলের হাত থেকে রক্ষা করে। যার ফলে হার্ট ভালো থাকে এবং রক্তসঞ্চালন ভালো হয়। এছাড়াও শরীরের যে কোনও রকম জ্বালা, প্রদাহ কমাতেও ভালো কাজ করে পেঁপে।

গ্যাস, অম্বল হজমের সমস্যায় অনেকে ভোগেন। প্রতিদিন পেঁপে সেদ্ধ করে খেলে কিংবা ডালে পেঁপে দিয়ে খেলে সেই সমস্যা কিন্তু অনেক কম হয়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও ভালো ওষুধ হল পেঁপে। পেঁপের বীজ কিন্তু আলসারের সমস্যার জন্য খুবই ভালো।

অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন তিনবার পেপে খেলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। বয়স্কদের মধ্যে দৃষ্টি ক্ষতি প্রাথমিক কারণ, প্রতিদিনের খাবারে তলনামূলক ভাবে কম পুস্টি গ্রহণ করা। পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভাল এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই এর উপস্থিতির কারণে।

পেঁপেতে কোনো ক্যালোরি নেই। আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তাই যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তারা খুব ভালো ফল পাবেন যদি প্রতিদিন একবাটি করে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই অন্যান্য রোগের সম্ভাবনাও কমে যায়।

প্রতিদিন পেঁপে খেলে ইউটেরাসের পেশি ভালো করে কাজ করে। আর পেঁপের মধ্যে থাকা ক্যারোটিন শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। এই দুই এর প্রভাবে ইস্ট্রোজেনের ক্ষরণ ভালো হয়। প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ইস্ট্রোজেন উৎপন্ন হলে পিরিয়ডসের সমস্যা অনেকটাই মিটে যায় এবং ধারাবাহিকতাও বজায় থাকে।

চুলের জন্যও পেঁপে খুব উপকারী। যে কারণে পেঁপে মেশানো শ্যাম্পুর প্রচলন বেশি। এছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে পেঁপে মিশিয়ে চুলে মাখলে গোড়া শক্ত হয়। চুলের শাইনিং ভাব বজায় থাকে। এছাড়াও মাথায় উঁকুনের সমস্যা হলে পেঁপে ভালো কাজ করে।

পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনোক্সিড যা দেহে ক্যানসারের কোষ তৈরিতে বাঁধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপের বিটা কেরোটিন উপাদান কোলন ক্যানসার, প্রোসটেট ক্যানসার প্রতিরোধ করে।