ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড, বিক্ষোভে নিহত ২১২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর প্রতিবাদে তার সমর্থকরা সহিংস বিক্ষোভ দেখায়। আর এই বিক্ষোভ দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে।  

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

জুমা মুক্তির আন্দোলন লুটপাট, হামলা ও অগ্নিসংযোগে রূপ নিলে দেশের দুই প্রদেশ হয়ে যায় যুদ্ধের রণক্ষেত্র। সেই সময় পুলিশ ও বেসরকারি সিকিউরিটির গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী লাশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ডারবান পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাপোসা। পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রপতি দেশের জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে চলে আসা লুটপাট একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দেশের সুনাম এবং সম্পদের ক্ষতিসাধন করে যারা দেশের সুনাম নষ্ট করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সুনাম নষ্ট না করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বান জানান।

গত এক সপ্তাহের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট মেরামতে কাজ করে যাচ্ছে দেশের সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। রাস্তাঘাট ধোয়া-মোছার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্ব স্ব মিউনিসিপ্যালিটি।

অপরদিকে, লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পুলিশ সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে কৃষ্ণাঙ্গদের ঘরে ঘরে। জোহানেসবার্গ ও ডারবানের প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের ঘর তল্লাশি চালিয়ে লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করছে। সেই সঙ্গে লুটপাটে অভিযুক্ত কৃষ্ণাঙ্গদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ১৭শ’ কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্টের কারাদণ্ড, বিক্ষোভে নিহত ২১২

আপডেট সময় ০৪:২৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে আদালত অবমাননার দায়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর প্রতিবাদে তার সমর্থকরা সহিংস বিক্ষোভ দেখায়। আর এই বিক্ষোভ দমনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে।  

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

জুমা মুক্তির আন্দোলন লুটপাট, হামলা ও অগ্নিসংযোগে রূপ নিলে দেশের দুই প্রদেশ হয়ে যায় যুদ্ধের রণক্ষেত্র। সেই সময় পুলিশ ও বেসরকারি সিকিউরিটির গুলিতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী লাশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে দেশটির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ডারবান পরিদর্শন করেছেন রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাপোসা। পরিদর্শনের সময় রাষ্ট্রপতি দেশের জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে চলে আসা লুটপাট একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দেশের সুনাম এবং সম্পদের ক্ষতিসাধন করে যারা দেশের সুনাম নষ্ট করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সুনাম নষ্ট না করার জন্য জনগণের কাছে আহ্বান জানান।

গত এক সপ্তাহের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট মেরামতে কাজ করে যাচ্ছে দেশের সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। রাস্তাঘাট ধোয়া-মোছার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্ব স্ব মিউনিসিপ্যালিটি।

অপরদিকে, লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পুলিশ সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে কৃষ্ণাঙ্গদের ঘরে ঘরে। জোহানেসবার্গ ও ডারবানের প্রতিটি কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের ঘর তল্লাশি চালিয়ে লুটপাট হওয়া মালামাল উদ্ধার করছে। সেই সঙ্গে লুটপাটে অভিযুক্ত কৃষ্ণাঙ্গদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ১৭শ’ কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।