ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশঙ্কা সত্যি হলো

মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হলো। মুরাদনগরের ৩৪ বছরের জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যানকে হারাতে সব আয়োজন সম্পন্ন-এমন একটি সংবাদ প্রচার করেছিল মুরাদনগর বার্তা। আজ ভোটের মাঠে তার বাস্তবচিত্র পাওয়া গেছে। সরকারি দলের সমর্থকরা বিএনপির জনপ্রিয় ওই প্রার্থীর জাহাপুর ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। ভোটের আগের রাত থেকেই পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

মুরাদনগরের ১৭ নং জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওই চেয়ারম্যান সৈয়দ  তৌফিক আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব দফতরগুলোতে আকুতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি।

জানা গেছে, সৈয়দ তৌফিক আহমেদ (তৌফিক মীর) ৩৪ বছর ধরে  দায়িত্বে থাকার কারণে এলাকায় তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এই জনপ্রিয়তাই তার কাল হয়েছে। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভোটে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ টি কেন্দ্রর ৯টিই দখল করে নিয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তৌফিক মীরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছিল নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে। গত ৩১ মে রাতে অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের একটি সশস্ত্র মোটরসাইকেল বাহিনী তৌফিক আহমদের বাড়ি ঘেরাও করে এবং তাকে ভোটের মাঠ থেকে সরে যেতে হুমকি দেয়। গত ২ জুন দুপুরে স্থানীয় রানীমুহরী নামক গ্রামে তৌফিক আহমদ প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মোটারসাইকেল বাহিনী সৈয়দ তৌফিক আহমদ ও তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। ওই ঘটনার পর উল্টো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তৌফিক আহমদ, তার ভাই ও তিন ছেলেসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।

সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে মুরাদনগরের ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে  বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তৌফিক মীর।

আজ নির্বাচনের দিনে সব ভোট কেন্দ্র দখল করে নেয়ার পর তৌফিক মীর বলেছেন, আওয়ামী সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পরেছে। তারা মরণ কামড় দিচ্ছে। এ অবস্থায় জীবনের ঝুকি না নেয়ার জন্য তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

আশঙ্কা সত্যি হলো

আপডেট সময় ১১:২৪:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০১৬
মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হলো। মুরাদনগরের ৩৪ বছরের জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যানকে হারাতে সব আয়োজন সম্পন্ন-এমন একটি সংবাদ প্রচার করেছিল মুরাদনগর বার্তা। আজ ভোটের মাঠে তার বাস্তবচিত্র পাওয়া গেছে। সরকারি দলের সমর্থকরা বিএনপির জনপ্রিয় ওই প্রার্থীর জাহাপুর ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। ভোটের আগের রাত থেকেই পুলিশের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

মুরাদনগরের ১৭ নং জাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওই চেয়ারম্যান সৈয়দ  তৌফিক আহমদ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব দফতরগুলোতে আকুতি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি।

জানা গেছে, সৈয়দ তৌফিক আহমেদ (তৌফিক মীর) ৩৪ বছর ধরে  দায়িত্বে থাকার কারণে এলাকায় তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এই জনপ্রিয়তাই তার কাল হয়েছে। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভোটে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১০ টি কেন্দ্রর ৯টিই দখল করে নিয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তৌফিক মীরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছিল নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে। গত ৩১ মে রাতে অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগের একটি সশস্ত্র মোটরসাইকেল বাহিনী তৌফিক আহমদের বাড়ি ঘেরাও করে এবং তাকে ভোটের মাঠ থেকে সরে যেতে হুমকি দেয়। গত ২ জুন দুপুরে স্থানীয় রানীমুহরী নামক গ্রামে তৌফিক আহমদ প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মোটারসাইকেল বাহিনী সৈয়দ তৌফিক আহমদ ও তার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। ওই ঘটনার পর উল্টো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তৌফিক আহমদ, তার ভাই ও তিন ছেলেসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।

সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে মুরাদনগরের ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে  বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তৌফিক মীর।

আজ নির্বাচনের দিনে সব ভোট কেন্দ্র দখল করে নেয়ার পর তৌফিক মীর বলেছেন, আওয়ামী সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পরেছে। তারা মরণ কামড় দিচ্ছে। এ অবস্থায় জীবনের ঝুকি না নেয়ার জন্য তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।