জাতীয় ডেস্কঃ
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশেষে বাংলাদেশিদের জন্য খুলতে যাচ্ছে। দেশটির মন্ত্রিসভা সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ওপর করোনা মহামারিতে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে দেশটি।
অর্থনীতি ও ব্যণিজ্য সম্পর্কিত পত্রিকা ‘দ্য মালয়েশিয়ান রিজার্ভ’-এ আজ শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার এই অনুমোদনের ফলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়া বাংলাদেশিদের জন্য মধ্য এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ তৈরি হলো।
দ্য মালয়েশিয়ান রিজার্ভের প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার সরকার বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করবে।
দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশি কর্মী নেওয়া শুরু হবে। এই শ্রমিকদের জন্য বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ এবং গৃহপরিচারকসহ বিভিন্ন খাত উন্মুক্ত থাকবে।
দাতুক সেরি এম সারাভানান।
দাতুক সেরি আরও বলেন, বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে সব সেক্টর উন্মুক্ত থাকবে বলে মন্ত্রিসভা সম্মত হয়েছে।
দেশটিতে যেতে কিছু শর্ত মানতে বলা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে মালয়েশিয়ার বৈধ ভিসা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া করোনার টিকা নেয়া ব্যক্তিরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। পাশাপাশি ইমিগ্রেশনের জন্য প্রয়োজন হবে করোনা নেগেটিভ সনদ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মানুসারে মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুকদের সে দেশে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতে পারে।
গত শনিবার এক বিবৃতিতে ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস (এফএমএম) জানায়, শিল্পখাতে আগামী বছর নাগাদ তাদের ছয় লাখের বেশি শ্রমিক লাগবে। রপ্তানিভিত্তিক কোম্পানিগুলোতে এই শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধ রয়েছে।
দেশটিতে ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারিতে মালয়েশিয়াপ্রবাসী হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে এসেছিলেন। তাদের জন্যও বন্ধ হয়ে যায় দেশটিতে প্রবেশ। করোনার টিকা নিয়ে এখন তারা ও নতুন বাংলাদেশি শ্রমিক যেতে পারবেন মালয়েশিয়া।