ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির সংলাপ: কিছুই জানে না বিএনপি

জাতীয় ডেস্কঃ

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে বিএনপি। শুধু তাই নয়, সংলাপের আমন্ত্রণ পেলে দল অংশ নেবে কি না সে সম্পর্কেও জানা নেই বিএনপির নীতিনির্ধারকদের।

বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে আগামী রবি অথবা সোমবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এই সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু জানেন না।’ রাষ্ট্রপতির এ সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে কি না, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জানি না’। সংলাপে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলে বিএনপি যাবে কি না, এ প্রশ্নেও বিএনপি মহাসচিবের উত্তর ছিল, ‘জানি না’। বিএনপি আদৌ সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু জানি না’।

‘র‌্যাবের ওপর নিষেধ্বাজ্ঞার দায় সরকারের’

এসময় মির্জা ফখরুল র‌্যাবের ওপরে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এই নিষেধ্বাজ্ঞার সব দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার কারণেই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর সব দায়িত্ব সরকারের।

সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।

লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন সম্প্রতি ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক নির্বাহী আদেশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক মহাপরিচালক এবং বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ র‍্যাবের ছয় জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর আর্থিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মার্কিন রাজস্ব বিভাগ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক কৌশলগত অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত বিব্রতকর ও উদ্ধেগজনক। তবে তা ছিল নিঃসন্দেহে অবশ্যম্ভাবী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি পরাশক্তি রাষ্ট্র কর্তৃক বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় ভবিষ্যতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সেনা মোতায়েন প্রভাবিত হতে পারে। এর ফলে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক আয়োজিত ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র সম্মেলন’-এ বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর মধ্য দিয়ে তা আরও সুস্পষ্ট হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক ব্যবস্থা করে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার ও বিচার পাওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনকালে এটাই হতে পারে সমগ্র দেশবাসীর জন্য সর্বোত্তম প্রাপ্তি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতির সংলাপ: কিছুই জানে না বিএনপি

আপডেট সময় ১২:১৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে বিএনপি। শুধু তাই নয়, সংলাপের আমন্ত্রণ পেলে দল অংশ নেবে কি না সে সম্পর্কেও জানা নেই বিএনপির নীতিনির্ধারকদের।

বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে আগামী রবি অথবা সোমবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এই সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু জানেন না।’ রাষ্ট্রপতির এ সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে কি না, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জানি না’। সংলাপে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলে বিএনপি যাবে কি না, এ প্রশ্নেও বিএনপি মহাসচিবের উত্তর ছিল, ‘জানি না’। বিএনপি আদৌ সংলাপে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু জানি না’।

‘র‌্যাবের ওপর নিষেধ্বাজ্ঞার দায় সরকারের’

এসময় মির্জা ফখরুল র‌্যাবের ওপরে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এই নিষেধ্বাজ্ঞার সব দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করার কারণেই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এর সব দায়িত্ব সরকারের।

সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।

লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন সম্প্রতি ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক নির্বাহী আদেশে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক মহাপরিচালক এবং বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ র‍্যাবের ছয় জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর আর্থিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মার্কিন রাজস্ব বিভাগ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক কৌশলগত অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা অত্যন্ত বিব্রতকর ও উদ্ধেগজনক। তবে তা ছিল নিঃসন্দেহে অবশ্যম্ভাবী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি পরাশক্তি রাষ্ট্র কর্তৃক বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় ভবিষ্যতে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে সেনা মোতায়েন প্রভাবিত হতে পারে। এর ফলে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক আয়োজিত ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র সম্মেলন’-এ বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর মধ্য দিয়ে তা আরও সুস্পষ্ট হয়।

তিনি আরও বলেন, দেশে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সর্বাত্মক ব্যবস্থা করে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার ও বিচার পাওয়ার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পালনকালে এটাই হতে পারে সমগ্র দেশবাসীর জন্য সর্বোত্তম প্রাপ্তি।