ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে যা বললেন ইনু

জাতীয় ডেস্কঃ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর শুরু হওয়া এ আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক এ দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, ইসি গঠন নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন বলে আমরা তাকে (রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ) সাধুবাদ জানিয়েছি। এ পদ্ধতিটা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এইটা গ্রহণযোগ্য দক্ষ নির্বাচন কমিশন উপহার দিতে সাহায্য হবে। আর দ্বিতীয় কথা, আমরা যেটি বলেছি যে সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী একটি আইনি কাঠামো না থাকায় তুলনামূলকভাবে একটি অনুসন্ধান কমিটির মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগটা ভালো। 

জাসদের এ নেতা বলেন, তিন নম্বর কথা বলেছি, পাঁচ বছর পর পর এ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়, তা থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতি যেন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে একটা আইনি কাঠামো তৈরি করার জন্য উনি যেন সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দেন। তারপর আমরা বলেছি সার্চ কমিটি ও অনুসন্ধান কমিটি সাংবিধানিক সংস্থা থেকে হওয়ায় বাঞ্ছনীয়।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক, সেহেতু সংবিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উনি একটা ভূমিকা রাখতে পারেন। আইন সংসদই করবে, সরকারই করবে, কিন্তু ওনাকে ভূমিকা রাখতে বলেছি। সরকারকে পরামর্শ দিতে বলেছি, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নে যেন সরকার উদ্যোগ নেয়। রাষ্ট্রপতি এই উদ্যোগ নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন। আমরা মনে করি, সব মহলকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করে দেবেন।

ইসি গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সঙ্গে আলোচনায় বসতে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। এর আগে গত সোমবার জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাসদ ছাড়াও ক্ষমতাসীন ১৪ দলের আরও দুই শরিক সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এই দুই দল যথাক্রমে ২৬ ও ২৮ তারিখ বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবে। 

এছাড়াও আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় তরীকত ফেডারেশন, সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিস, ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বিএনএফ ও সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন রাষ্ট্রপতি। তবে এখনো আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্য নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময় চূড়ান্ত হয়নি।

রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে যা বললেন ইনু

আপডেট সময় ০১:২৩:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

জাতীয় ডেস্কঃ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিনে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর শুরু হওয়া এ আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক এ দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, ইসি গঠন নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছেন বলে আমরা তাকে (রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ) সাধুবাদ জানিয়েছি। এ পদ্ধতিটা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য অংশগ্রহণমূলক হবে এবং এইটা গ্রহণযোগ্য দক্ষ নির্বাচন কমিশন উপহার দিতে সাহায্য হবে। আর দ্বিতীয় কথা, আমরা যেটি বলেছি যে সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী একটি আইনি কাঠামো না থাকায় তুলনামূলকভাবে একটি অনুসন্ধান কমিটির মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্যোগটা ভালো। 

জাসদের এ নেতা বলেন, তিন নম্বর কথা বলেছি, পাঁচ বছর পর পর এ নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হয়, তা থেকে স্থায়ী সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতি যেন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে একটা আইনি কাঠামো তৈরি করার জন্য উনি যেন সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ এবং দিক নির্দেশনা দেন। তারপর আমরা বলেছি সার্চ কমিটি ও অনুসন্ধান কমিটি সাংবিধানিক সংস্থা থেকে হওয়ায় বাঞ্ছনীয়।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক, সেহেতু সংবিধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উনি একটা ভূমিকা রাখতে পারেন। আইন সংসদই করবে, সরকারই করবে, কিন্তু ওনাকে ভূমিকা রাখতে বলেছি। সরকারকে পরামর্শ দিতে বলেছি, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নে যেন সরকার উদ্যোগ নেয়। রাষ্ট্রপতি এই উদ্যোগ নেওয়ার এখতিয়ার রাখেন। আমরা মনে করি, সব মহলকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতের জন্য একটি আইনি কাঠামো তৈরি করে দেবেন।

ইসি গঠন নিয়ে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দিন বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সঙ্গে আলোচনায় বসতে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। এর আগে গত সোমবার জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাসদ ছাড়াও ক্ষমতাসীন ১৪ দলের আরও দুই শরিক সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। এই দুই দল যথাক্রমে ২৬ ও ২৮ তারিখ বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবে। 

এছাড়াও আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ২৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় তরীকত ফেডারেশন, সন্ধ্যা ৬টায় খেলাফত মজলিস, ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বিএনএফ ও সন্ধ্যা ৬টায় ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন রাষ্ট্রপতি। তবে এখনো আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্য নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের সময় চূড়ান্ত হয়নি।

রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।