ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বছরের শুরুতেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

নতুন বছরে পা দিতেই ফরাসি দার্শনিক নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী আগামী ১৮ জানুয়ারি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি অতিকায় গ্রহাণু ।

‘দ্য সান’ এর প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রহাণুটি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের থেকে আড়াই গুণ উঁচু। নাম তার ৭৪৮২ (১৯৯৪ পিসি১)। ৩ হাজার ২৮০ ফুট ব্যাসের দৈত্যাকার এই গ্রহাণুটি কি কোনও বিপদ সংকেত বয়ে আনছে? সেক্ষেত্রে অবশ্য স্বস্তি। কেননা শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি এলেও নীল গ্রহের সঙ্গে তার টক্কর লাগবে না। নিরাপদ দূরত্ব রেখেই চলে যাবে সেটি।

তবে গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর ন্যূনতম দূরত্ব থাকবে ০.০১৩ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট। সব মিলিয়ে এই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে কম দূরত্ব থাকবে ১২ লক্ষ মাইল। অর্থাৎ ১৯ লক্ষ কিমির চেয়েও বেশি। যা আমাদের থেকে চাঁদের দূরত্বের পাঁচ গুণ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে মহাজাগতিক হিসেবে গ্রহাণুটিকে যতই কাছাকাছি মনে করা হোক, আসলে সেটি যথেষ্ট দূর দিয়েই যাবে।

উল্লেখ্য, নস্ত্রাদামুসের বলে যাওয়া নানা ঘটনার কথাই বাস্তবায়িত হয়েছে। অ্যাডল্ফ হিটলারের স্বৈরাচারী শাসন থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ- সবই আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে এই ধরনের কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার কথা তিনি জানিয়েছিলেন। তাও ঠিক এই সময়কালেই। কিন্তু পৃথিবীর কতটা কাছাকাছি আসবে ওই গ্রহাণু? প্রসঙ্গত, পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসা গ্রহাণু-ধুমকেতুদের ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ বা এনইও হিসেবে চিহ্নিত করে নাসা। এই গ্রহাণুটিও সেই গোত্রে পড়ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

বছরের শুরুতেই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু

আপডেট সময় ০১:১২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

নতুন বছরে পা দিতেই ফরাসি দার্শনিক নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী আগামী ১৮ জানুয়ারি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একটি অতিকায় গ্রহাণু ।

‘দ্য সান’ এর প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, গ্রহাণুটি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের থেকে আড়াই গুণ উঁচু। নাম তার ৭৪৮২ (১৯৯৪ পিসি১)। ৩ হাজার ২৮০ ফুট ব্যাসের দৈত্যাকার এই গ্রহাণুটি কি কোনও বিপদ সংকেত বয়ে আনছে? সেক্ষেত্রে অবশ্য স্বস্তি। কেননা শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর কাছাকাছি এলেও নীল গ্রহের সঙ্গে তার টক্কর লাগবে না। নিরাপদ দূরত্ব রেখেই চলে যাবে সেটি।

তবে গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর ন্যূনতম দূরত্ব থাকবে ০.০১৩ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট। সব মিলিয়ে এই গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সবচেয়ে কম দূরত্ব থাকবে ১২ লক্ষ মাইল। অর্থাৎ ১৯ লক্ষ কিমির চেয়েও বেশি। যা আমাদের থেকে চাঁদের দূরত্বের পাঁচ গুণ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে মহাজাগতিক হিসেবে গ্রহাণুটিকে যতই কাছাকাছি মনে করা হোক, আসলে সেটি যথেষ্ট দূর দিয়েই যাবে।

উল্লেখ্য, নস্ত্রাদামুসের বলে যাওয়া নানা ঘটনার কথাই বাস্তবায়িত হয়েছে। অ্যাডল্ফ হিটলারের স্বৈরাচারী শাসন থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ- সবই আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে এই ধরনের কোনও গ্রহাণুর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসার কথা তিনি জানিয়েছিলেন। তাও ঠিক এই সময়কালেই। কিন্তু পৃথিবীর কতটা কাছাকাছি আসবে ওই গ্রহাণু? প্রসঙ্গত, পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসা গ্রহাণু-ধুমকেতুদের ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ বা এনইও হিসেবে চিহ্নিত করে নাসা। এই গ্রহাণুটিও সেই গোত্রে পড়ছে।