দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেবীদ্বার উপজেলা ১৫টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের প্রভাবমুক্ত করে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১০ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত (নৌকা প্রতীকের) চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
শনিবার বিকালে দেবীদ্বার পৌর এলাকার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় এমপি ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গুনাইঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হুমায়ুন কবির, বড়কামতা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম, এলাহাবাদ ইউনিয়ন নৌকার প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম সরকার, বড়শালঘর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ইউনুস মিয়া মাস্টার, গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ মোকবল হোসেন মুকুল, ফতেহাবাদ ইউনিয়ন নৌকার প্রার্থী শাহনাজ মোস্তফা, সুলতানপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, ধামতী ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী সৈয়দ জসিম উদ্দিন ও সুবিল ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও তার অনুসারীরা জামায়াত-বিএনপিকে পাশে নিয়ে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে নৌকাকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। বিভিন্ন এলাকায় দাঙ্গা-ফাসাদ, নিজেদের পোস্টার ছিঁড়ে, অফিস ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা ও মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরছেন। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। উল্টো বিদ্রোহী প্রার্থীদের পুলিশ স্কট দিয়ে তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় সহযোগিতা করছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেন, শুধু তাই নয়, গত কয়েক দিন আগে দেবীদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল মো. আমিরুল্লাহ এএসপি’র বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষপাতের অভিযোগে নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। অবৈধ পন্থায় উপার্জিত টাকা ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। তার প্রতিকারে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।