ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার ‘আক্রমণ’ নিয়ে কী ভাবছে ইউক্রেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে ৭০ শতাংশ সামরিক প্রস্তুতি শেষ করেছে রাশিয়া। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও ভারী অস্ত্র সীমান্তে মজুদ করতে যাচ্ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  

রাশিয়ার ওই আক্রমণে ইউক্রেনের অন্তত ৫০ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হতে পারেন। এছাড়া ইউক্রেনের ২৫ হাজার সৈন্যও প্রাণ হারাতে পারেন। এই আগ্রাসনের ফলে ইউপোরে ঢল নামবে শরণার্থীদের।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুজন মার্কিন কর্মকর্তার এমন আশঙ্কার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।  

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এ ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী আপনারা বিশ্বাস করবেন না। ইউক্রেনের শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অভূতপূর্ব সমর্থন দিয়েছে এবং ইউক্রেনের জনগণ দেশের ওপর আস্থাশীল। তাই শত্রুদের উচিত আমাদের ভয় পাওয়া।

তবে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।  

চলমান এই সংকট কূটনৈতিক আলোচনায় সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করছে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা।

যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকে অভিযোগ করে আসছে, ইউক্রেন দখলে নিতে দেশটির সীমান্তের কাছে অন্তত ১ লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। কিন্তু প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।  

রাশিয়ান সৈন্যরা সামরিক মহড়া দিতেই ওই অঞ্চলে রয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। একই সঙ্গে দেশটি বলছে, ইউক্রেনকে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়া উচিত নয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

রাশিয়ার ‘আক্রমণ’ নিয়ে কী ভাবছে ইউক্রেন?

আপডেট সময় ১১:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে ৭০ শতাংশ সামরিক প্রস্তুতি শেষ করেছে রাশিয়া। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও ভারী অস্ত্র সীমান্তে মজুদ করতে যাচ্ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।  

রাশিয়ার ওই আক্রমণে ইউক্রেনের অন্তত ৫০ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হতে পারেন। এছাড়া ইউক্রেনের ২৫ হাজার সৈন্যও প্রাণ হারাতে পারেন। এই আগ্রাসনের ফলে ইউপোরে ঢল নামবে শরণার্থীদের।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুজন মার্কিন কর্মকর্তার এমন আশঙ্কার বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।  

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এ ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী আপনারা বিশ্বাস করবেন না। ইউক্রেনের শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অভূতপূর্ব সমর্থন দিয়েছে এবং ইউক্রেনের জনগণ দেশের ওপর আস্থাশীল। তাই শত্রুদের উচিত আমাদের ভয় পাওয়া।

তবে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইউক্রেন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।  

চলমান এই সংকট কূটনৈতিক আলোচনায় সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করছে ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা।

যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকে অভিযোগ করে আসছে, ইউক্রেন দখলে নিতে দেশটির সীমান্তের কাছে অন্তত ১ লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে রাশিয়া। কিন্তু প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মস্কো।  

রাশিয়ান সৈন্যরা সামরিক মহড়া দিতেই ওই অঞ্চলে রয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। একই সঙ্গে দেশটি বলছে, ইউক্রেনকে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়া উচিত নয়।