লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
সকালে শুরুটা যদি হয় চায়ের হাত ধরে তবে যেন পুরো দিনেই থাকে চনমনে ভাব। বিকেলের নাস্তার সাথে এক কাপ চা যেনো এনার্জি লোড করার অভিনব তরিকা। পানীয় হিসেবে চা সর্বদাই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।
চায়ের এতো জনপ্রিয় হওয়ার মূলে রয়েছে ক্যাফেইন নামক উপাদান। ক্যাফেইন একটি মৃদু উত্তেজক উপাদান যার ফলে চা পান করলে শরীর চাঙা হয় ও ঝরঝরে লাগে।
চা–পাতার ধরন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতির বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন রকম চা হয়। যেমন গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, উলং টি ইত্যাদি। তবে সব রকম চায়ে পলিফেনল, থায়াফ্লাবিন, থায়ারুবিজিন ইত্যাদি উপাদান থাকে। এগুলো দেহে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, দেহ থেকে বিষাক্ত ও বর্জ্য উপাদান নিঃসরণে সহায়তা করে ত্বক ও চুল সুস্থ রাখে।
চায়ে কোনো ক্যালরি নেই। এমনকি এতে উপস্থিত রাসায়নিক উপাদানের পরিমাণ খুবই কম। চায়ের ক্যালরি নির্ভর করে কতটুকু চিনি মেশানো হয় তার ওপর এবং দুধ চায়ে কতটুকু দুধ মেশানো হচ্ছে তার উপর। অর্থাৎ দুধ ও চিনি ছাড়া চা পান করলে তা হবে ক্যালরি–ফ্রি চা।
এ-তো গেলো আমাদের জীবনে চায়ের উপকারীতা। অনেক আবার প্রশ্ন তোলেন চায়ের ক্ষতিকর দিক নিয়ে। চায়ে বিদ্যমান আরেকটি প্রধান উপাদান হলো ট্যানিন। এটি দেহে শক্তি উৎপাদন, প্রোটিনের গ্রহণযোগ্যতা ও ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদানের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
চায়ের তিক্ত-কষ স্বাদ এবং ব্ল্যাক টির কালো রং ট্যানিন নামক এ উপাদানের জন্য হয়। ট্যানিন খাদ্য থেকে দেহে আয়রনের শোষণহার হ্রাস করে। অনায়াসেই মনে প্রশ্ন তবে কি চা মারাত্মক ক্ষতিকর? উত্তর হবে, অবশ্যই না। প্রতিটি খাবার এরই রয়েছে ভালো খারাপ দিক।
চায়ের ভালো-মন্দ নির্ভর করছে এর উৎপাদন, প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতের ওপর সাথে এর উপাদানসমূহের পরিমাণের উপরও। হোয়াইট টি ও উলং টিয়ে ট্যানিন নেই। তা ছাড়া সঠিক নিয়মে প্রস্তুত এক চা–চামচ চা-পাতা থেকে তৈরি এক কাপ চায়ে যে পরিমাণ ট্যানিন থাকে, তা দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। তাই চা বানানো ও পান করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে ট্যানিনের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো সম্ভব।
তাই সঠিক নিয়মে, সঠিক পরিমানে চা পান করুন এবং দিনভর নিজেকে চাঙ্গা রাখুন।