রায়হান চৌধুরীঃ
ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসার টাকার বিনিময়ে পরাজিত সদস্য প্রার্থীকে বিজয়ী করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী খোরশেদ আলম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শনিবার সকালে এবিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের, ‘মহেষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার বিল্লাল হোসেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বি তালা মার্কার রহিম মিয়া কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। যার ফলে, ভোট শেষ হওয়ার পর মেম্বার ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরে এজেন্টদের কোন প্রকার স্বাক্ষর না নিয়ে এবং কেন্দ্রে কোন প্রকার কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলে প্রয়োজনিয় কপি তৈরী না করেই তরিঘরি করে ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা না করেই কেন্দ্র থেকে চলেযাচ্ছিল এ সময় স্থানীয় ও এজেন্টদের বাধার মুখে পড়ে নির্বাচনি কর্মকর্তারা। পরে মৌখিক ভাবে জানান মৌরগ ৫৭০, তালা ৪৩৩ ও বল মার্কা ৪ ভোট পেয়েছে বলে নির্বাচনি কর্মকর্তারা কেন্দ্র থেকে চলে যায়। কিছুক্ষন পর বাঙ্গরা থানায় গিয়ে ৪৩৩ ভোট পাওয়া তালা মার্কাকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। তাই ভোট কারচুপি করে ফলাফল পরিবর্তনের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি।’
তালা মার্কার বিজয়ী মেম্বার রহিম মিয়া ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, সাধারণ ভোটরদের ভোটেই আমি বিজয়ী হয়েছি। প্রতিপক্ষ কেন্দ্র দখল করে তাদের বিজয় ঘোষনা নিতে চেয়েছিল? পরে অতিারক্ত পুলিশ এসে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নিয়ে যায়
প্রিজাইডিং অফিসার বিল্লাল হোসেন সকল অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ‘পরাজিত মেম্বার প্রার্থী খোরশেদ আলম আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলেছেন তা অসত্য। মেম্বার রহিম মিয়ার কাছ থেকে আমি কোন প্রকাশ সুবিধা নেই নাই।’
কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম বলেন, যথা উপযুক্ত প্রমান পেলে আইন অনুযাই ব্যবস্থা নেয়া হবে।