জাতীয় ডেস্কঃ
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে বেলা ১১টার দিকে সংলাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সবাই সময় মতো আসেননি। সংলাপ শুরু হয় ১৫ মিনিট পর। কেউ কেউ এসেছেন সংলাপ শুরুর পর।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির জন্য বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপের দ্বিতীয় দফায় মতামত দেওয়ার জন্য ৩৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এতে অংশ নিয়েছেন ১৭ জন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আহসান হাবিব খান। ওমরাহ পালন করতে যাওয়ায় সংলাপে অংশ নিতে পারেননি নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান। এছাড়া ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সংলাপে অংশগ্রহণ করেন।
বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে যারা অংশ নেন- খুশী কবির, সঞ্জীব দ্রং, রোবায়েত ফেরদৌস, আলী ইমাম মজুমদার, আব্দুল লতিফ মণ্ডল, মহিউদ্দিন আহমেদ, সিনহা এম সাঈদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ফরাস উদ্দিন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, আবু আলম মো. শহীদ খান, ড. ইফতেখারুজ্জামান, শাহীন আনাম, জহিরুল আলম ও অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান।
যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসি- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়ালি উর রহমান।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, এম হাফিজ উদ্দিন খান, খুশী কবির, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ও রোকেয়া এ রহমান, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গোলাম হোসেন, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, গভর্ন্যান্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের ড. জহুরুল আলম, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. আমেনা মহসিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, রুবায়েত ফেরদৌস, ড. এস এম শামীম রেজা ও ড. শেখ হাফিজুর রহমান, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান ও ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ এবং লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ।
গত ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিনও আমন্ত্রিতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ সাড়া দেননি।
বর্তমান কমিশন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়ার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ করে। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়েই সংলাপের উদ্যোগ নেয়।
সংলাপে বসে শিক্ষাবিদরা দলগুলোকে আস্থায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ, ভোটার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ইভিএম ব্যবহার, দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যপদ পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ইসির অধীন রাখাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেন।
এরপর গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে সংস্থাটি। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বর্তমান কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এক্ষেত্রে ২০২৩ সাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি।