ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ) প্রতিনিধি ঃ

বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিদ্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়সংলগ্ন বাঞ্ছারামপুর-ধারিয়ারচর সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।মানববন্ধনে বাঞ্ছারামপুর সদর (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগম, সহকারী প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আশরাফ উদ্দিন, ফুল মিয়া, আবদুল আজিজ, মাহবুবুল আলম, জলি আক্তার, অলেক মিয়া, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. আদত মিয়া, মানিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আছাদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের জোর করে বের করে মাঠে নিয়ে যান এবং সেখানে একটি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, দরজা ও জানালা ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় বক্তারা জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।এদিকে বিদ্যালয় ভাঙচুরের মামলায় দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান; ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ ১১ আসামি জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক জাহিদ হোসেন তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রবাসীর বাড়ি ঘরে হামলা, নারীসহ আহত ৩

বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৩:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ) প্রতিনিধি ঃ

বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিদ্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক, প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন অভিভাবক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়সংলগ্ন বাঞ্ছারামপুর-ধারিয়ারচর সড়কে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।মানববন্ধনে বাঞ্ছারামপুর সদর (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা বেগম, সহকারী প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আশরাফ উদ্দিন, ফুল মিয়া, আবদুল আজিজ, মাহবুবুল আলম, জলি আক্তার, অলেক মিয়া, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. আদত মিয়া, মানিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আছাদ মিয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের জোর করে বের করে মাঠে নিয়ে যান এবং সেখানে একটি মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের চেয়ার, টেবিল, দরজা ও জানালা ভাঙচুর করেন।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় বক্তারা জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।এদিকে বিদ্যালয় ভাঙচুরের মামলায় দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান; ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ ১১ আসামি জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক জাহিদ হোসেন তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।