ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে শিক্ষার্থীদের ২ ঘন্টা রোদে দাঁড় করিয়ে সংবর্ধনা নিলেন প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মজিদ

বেলাল উদ্দিন আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের ২ ঘন্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রেখে লাল গালিচা সংবর্ধনা নিলেন রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে প্রচন্ড রোদের মধ্যে দাড়ঁ করিয়ে রাক্ষেন কলেজ অধ্যক্ষ। এ বিষয়ে সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কলেজের অধ্যক্ষ তা পালন করেনি। এঘটনায় অভিভাবকসহ সামাজিক যোগাযোগের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই সংবর্ধনা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সংবর্ধনা শেষে কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান হয়।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা কলেজ এসে উপস্থিত হয়েছেন দুপুর ১২টায়। এই দুই ঘন্টা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান ফটক থেকে মূল ভবন পর্যন্ত দুই পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখেন অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী। দীর্ঘ দুই ঘন্টায় শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে লাল গালিচা বিছানো ফুল ছিটানো এবং প্রতিষ্ঠাতার নামে নানা শ্লোগাণ দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেন কলেজ অধ্যক্ষ। বিলম্বে ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে এক টানা বিকাল ৩টায় শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ। কলেজ অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও কলেজের আজীবন দাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী রেহানা মজিদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, তাঁরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠান পড়ালেখা শেখার জন্য। অথচ তাদের রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে কলেজের শিক্ষকরা তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করছেন।

শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিশেষ ব্যক্তিদের এমন সংবর্ধনা দিয়ে থাকি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার জানান শিক্ষার্থীদেরকে দাড় করিয়ে রেখে কাউকে সংবর্ধনা দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে এক পরিপত্র আছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এ ধরণের কিছু হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি দু:খজনক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগরে শিক্ষার্থীদের ২ ঘন্টা রোদে দাঁড় করিয়ে সংবর্ধনা নিলেন প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মজিদ

আপডেট সময় ০৪:২১:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ মার্চ ২০২২

বেলাল উদ্দিন আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের ২ ঘন্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রেখে লাল গালিচা সংবর্ধনা নিলেন রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের জোর করে প্রচন্ড রোদের মধ্যে দাড়ঁ করিয়ে রাক্ষেন কলেজ অধ্যক্ষ। এ বিষয়ে সরকারী ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কলেজের অধ্যক্ষ তা পালন করেনি। এঘটনায় অভিভাবকসহ সামাজিক যোগাযোগের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার রামচন্দ্রপুর অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই সংবর্ধনা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সংবর্ধনা শেষে কলেজ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান হয়।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা কলেজ এসে উপস্থিত হয়েছেন দুপুর ১২টায়। এই দুই ঘন্টা কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রধান ফটক থেকে মূল ভবন পর্যন্ত দুই পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে রাখেন অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী। দীর্ঘ দুই ঘন্টায় শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে লাল গালিচা বিছানো ফুল ছিটানো এবং প্রতিষ্ঠাতার নামে নানা শ্লোগাণ দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেন কলেজ অধ্যক্ষ। বিলম্বে ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে এক টানা বিকাল ৩টায় শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ। কলেজ অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, হোমনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও কলেজের আজীবন দাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী রেহানা মজিদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, তাঁরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠান পড়ালেখা শেখার জন্য। অথচ তাদের রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে কলেজের শিক্ষকরা তাঁদের স্বার্থ রক্ষা করছেন।

শিক্ষার্থীদের রোদে দাঁড় করিয়ে রাখার বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিশেষ ব্যক্তিদের এমন সংবর্ধনা দিয়ে থাকি।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার জানান শিক্ষার্থীদেরকে দাড় করিয়ে রেখে কাউকে সংবর্ধনা দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে এক পরিপত্র আছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এ ধরণের কিছু হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি দু:খজনক।