সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে বসত বাড়ীর জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক দিনমজুরের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় একটি বসত ঘর ভাঙচুর করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া হয় ও ঘরে থাকা স্বর্নালংকার, আসাবপত্র ও নগদ টাকাসহ দুলাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
সোমবার সকালে উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের মূছামার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মূছামার্কেট গ্রামের মৃত. রফিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন বসত বাড়ীর জায়গা নিয়ে একই এলাকার কফিল উদ্দিনের পুত্র দেলোয়ার হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে জেলার বুড়িচং উপজেলার মতিন মিয়ার পুত্র মো: মিজান, ধামঘর গ্রামের গ্রামের কফিল উদ্দিন ও তার পুত্র সাইফুল ইসলাম, পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার পৌর এলাকার সলিমুদ্দিনের পুত্র আলী হোসেন সহ ১০/১২ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী রাম দা, হকিস্টিক, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আর এ হামলার ঘটনায় মনিরুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তারের দুহাত, তার বোন পপি আক্তারের মাথায় ও তার মা জমিলা খাতুনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় স্থানীয়রা আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলোন- দেলায়ার হোসেনের সাথে আমার বসত বাড়ীর জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ফৌজধারি কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় আদালত কর্তৃক এ জায়গা স্থগিতাদেশ বিদ্যমান রয়েছে। তারপরও দেলোয়ার হোনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার বৃদ্ধ মা, বোন, স্ত্রীকে রক্তাক্ত জখম করে। এবং আমার বসত ঘরটি ভেঙে ঘরের টিন, টাকা পয়সা ও আসাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। আমি প্রশাসনের এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবী জানাই।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাশিম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা হামলার ঘটনাটি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।