মো. তপন সরকার, হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনায় ফেইজবুকে প্রচারিত উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে ভূয়া ঘোষণা করে অবিলম্বেতা বাতিল সহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।
গতকাল সোমবার ২ এপ্রিল সকাল ১১ টায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ফয়সাল সরকার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের ইতিহাস ঐতিহ্য ও বর্তমান কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার জন্য দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি জামাত চক্র পরিকল্পিত ভাবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে একটি ভূয়া কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে প্রচার করেন।
এনিয়ে সংগঠনের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হোমনা উপজেলা ছাত্রলীগ স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। পরে সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুনরায় একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সার সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলা ছাত্র লীগের সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান,শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. হারিস, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহম্মেদ পলাশ,হোমনা সরকারী ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি রাসেল আহাম্মেদ শুভ সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
জানাগেছে, কুমিল্লা( উঃ) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিনের স্বাক্ষর সম্মেলিত ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ফেইজবুকে প্রচার করা হয়।
এবিষয়ে সদ্য সাবেক কুমিল্লা( উঃ) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউসার অনিক মুঠোফোনে জানান, ফেইজবুকে প্রচারিত কমিটি ভূয়া। কমিটিতে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। একমিটির ব্যাপারে আমি অবহিত নই। আমি ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেছি।
এছাড়া সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন জানান, ফেইজবুকে প্রচারিত কমিটিতে আমি স্বাক্ষর করি নাই। আমাদের সিলযুক্ত স্বাক্ষর না নিসন্ধেহে একমিটি ভুয়া।
এদিকে বিতর্কিত কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকারের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।