মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে শালিসে মরিয়ম বেগম নামে এক নারী মানবাধিকার কর্মীকে ব্যাপক মারধর ও শ্লীলতাহানির আলোচিত ঘটনায় অবশেষে মামলা নিয়েছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ মামলা গ্রহন করে এবং এজহারভূক্ত ৭ নাম্বার আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার সকালে আহত মানবাধিকার কর্মী মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে দুপুরে উপজেলার ত্রিশ গ্রামে অভিযান চালিয়ে জামাল হোসেন(৩০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপর অভিযোগক্ত আসামিরা হলো, উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের মৃত শাহ আলম মেম্বারের ছেলে ও ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন(৪০), ছোট ভাই সুমন সরকার(৩৮), রাসেল মিয়া, সুধন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া, হাসু মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, তবদল মিয়ার ছেলে রনি মিয়া লতু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম বলেন, অভিযোগের পরিপেক্ষিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসমিরা পলাতক রয়েছে। অভিযুগক্তদের আটেকে বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব বিরোধ এবং গত ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ার অভিযোগ এনে গত ২৮জুন রাতে মুরাদনগর উপজেলার ত্রিশ গ্রামের নারী মানবাধিকার কর্মী এবং ইন্টার ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশনের কর্মী মরিয়ম বেগমকে লোক মারফত কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ডেকে আনেন ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন। এ সময় এক ব্যবসায়ীর দোকানে শালিসে বসেন। এসময় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন তার দলবল ওই নারীকে শ্লীলতাহানি সহ ব্যাপক মারধর করেন। এক পর্যায়ে আত্মরক্ষায় ওই নারী এদিক সেদিক ছোটাছুটি করলেও হামলাকারীরা তাকে দৌড়ে গিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান ভিপি জাকির হোসেন তার আসনে বসে এসব দৃশ্য উপভোগ করেন। মারধরের সময়ে ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।