বেলাল উদ্দিন আহম্মেদ/ এম কে আই জাবেদ, মুরাদনগর:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানায় মধ্যরাতে জোর করে ঘরে প্রবেশ করে নারীকে ধর্ষন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন ও ডাকাতির ঘটনায় তিন লম্পট ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ১৫সেপ্টেম্বর রাত দেড়টায় থানার চাপিতলা গ্রামে বাড়িতে জোর পূর্বক প্রবেশ করে ধর্ষন, নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন এবং ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা হিসাবে ১৬সেপ্টেম্বর শুধু চুরির মামলা হিসাবে নেয়।পরদিন শনিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই ওমর ফারুক ভিকটিমের বাবার কাছ থেকে গাড়ীর তেল খরচ পনের’শ টাকা আদায় করে।পুলিশের সাথে সখ্যতাগড়ে ওই নারী ও তার পিতাকে আসামীপক্ষ মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়।ভিকটিমের পিতার অভিযোগ ঘটনার পরদিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও প্রকৃত সত্য ঘটনাকে আড়াল করে সাধারণ চুরির অভিযোগ নিয়ে সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে ঘটনার প্রধান আসামী টনকী গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে জাকিরকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে এসআই ওমর ফারুক সহ ওই দিনের ডিউটি অফিসার ও ইন্সপেকটর তদন্তের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি ২৩সেপ্টেম্বর দৈনিক সমকালের লোকালয়ে প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়ে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান। চুরির মামলার পরিবর্তে ধর্ষন পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন ও ডাকাতির মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় জেলা পুলিশ প্রশাসনকর্তব্য কাজে অবহেলার দায়ে এস আই ওমর ফারুক, এ এস আই আতাউর ও কন্সটেবল মামুন কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে তবে ঘটনার সাথে জড়িতরা অধরাই রয়ে গেছে।
বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে সন্ধিগ্ধ আসামী থানার গাজীপুর গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া(২৩), ফুল মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন(৩৭) ও মৃত জীবন মিয়ার ছেলে নাজমুল হাসান টুকুন(১৯) গ্রেফতার করে শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতে প্রেরন করে। পুলিশ এদের নিকট হতে লুন্ঠিত মোবাইল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দা ও ছুরি উদ্ধার করে।
এ বিষয়েবাঙ্গরা বাজার থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান ঘটনার সাথে জড়িত ৩জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরকেও গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।