ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ঃ
সারাদিন রোদের রাজত্ব শেষে সন্ধ্যা নামতেই বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ঋতু বৈচিত্র্যের কারণে রাতে কুয়াশা আর দিনে গরম থাকলে ও শেষ রাতে ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। শীতের এ আগমনী বার্তায় কদর বেড়েছে লেপ-তোষকের।
এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লেপ-তোষকের দোকানের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিকরা। এছাড়া লেপ তোষকের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের গ্রামে গ্রামে ঘুরে লেপ তোষক বিক্রি করতে দেখা গেছে। তিতাস নদী বেষ্টিত উপজেলার সর্বত্রই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। এ কারণে লেপ তোষকের চাহিদা বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাঞ্ছারামপুর বাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মানিক মিয়া জানান, বছরের মাঝে কিছুটা অর্ডারি ছাড়া আমাদের লেপ-তোশক তেমন কেনাবেচা হয়না, আর শীত এলেই শুরু হয় ভালো বেচাকেনা, তাছাড়া এ ব্যবসা নিয়ে টিকে থাকতে পারতাম না। যতই শীতের প্রকোপ বাড়বে, মানুষ আরও বেশি করে লেপ-তোশক বানাবে। এরই মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য অর্ডার আস্তে শুরু হয়েছে এবং আমাদের কারিগররা দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোষক ও বালিশ তৈরিতে। এছাড়াও স্থানীয় বাজারে ইতোমধ্যে শীতবস্ত্র বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।
এ দিকে কয়েকদিন ধরে রাতে ও সকালে হালকা কুয়াশা হওয়ায় দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দর্জির দোকান গুলোতে ও ব্যস্ততা বেড়েছে। বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র তৈরির পাশাপাশি কোট-প্যান্ট তৈরির চাহিদাও বেড়ে গেছে। এ দিকে খোলাবাজারে লেপ তোশক তৈরির তুলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে বাজারে গার্মেন্টস তুলা ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ফোম তুলা ১৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, সাদা হুল তুলা ১১০ টাকা কেজি, সাদা তুলা ৮০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তুলার মূল্য দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি লেপ বানাতে প্রকারভেদে ১৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
লেপ-তোষক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া জানান, এ উপজেলায় অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শীত নামতে শুরু করেছে। তীব্র শীত পড়লে বেচাকেনা আরও বেশি বাড়বে।