ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১০ দফা দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি

জাতীয় ডেস্কঃ

সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদ, নেতাকর্মীদের মুক্তি, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে নতুন করে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।

পূর্বঘোষিত এই ১০ দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ‘২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে’ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ওরা আমাদের সংস্কৃতি, চিন্তাবোধকে ধ্বংস করেছে। এই আওয়ামী লীগ আবারও তামাশার নির্বাচন করতে চায়।’

‘কিন্তু, না। জনগণ এবার নিজেই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আর এই জনগণের সাথে থেকে এ দানবীয় সরকারকে বিদায় করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে ধ্বংস করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধের দাবিদার আওয়ামী লীগ। এই ২৫ জানুয়ারি তারা গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলো। নতুন প্রজন্ম এই ইতিহাস জানে না। কেন গণতন্ত্র হত্যা করেছেন—আওয়ামী লীগের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। উল্টো বলে বিএনপি নাকি গণতন্ত্র নষ্ট করেছে।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেদিন আপনাদের একদলীয় বাকশাল কায়েমের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, ব্যারিস্টার মঈনুল সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিল। পল্লীকবি জসিমউদ্দীন তার পদক প্রত্যাহার করে নেন।’

‘এই আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ভিন্নমত সহ্য করে না। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মওলানা ভাসানীকে সন্ত্রাসী কায়দায় দল থেকে বের করে দিয়েছিল। এরা সন্ত্রাসী দল।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে এদেশটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। জনগণকে তারা প্রজা মনে করে। জনগণও তাদের প্রত্যাখান করেছে।’

সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেনসহ প্রমুখ বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতি এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য আমিনুল হক সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

এর আগে সমাবেশ ঘিরে দুপুর ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। দলে-দলে আসেন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলা দল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে আসেন। তারা রাস্তায় ত্রিফল বিছিয়ে তার ওপর বসেন। ট্রাকের ওপর সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। বিএনপি কার্যালয়ের আশেপাশেও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

১০ দফা দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি

আপডেট সময় ০১:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

জাতীয় ডেস্কঃ

সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদ, নেতাকর্মীদের মুক্তি, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে নতুন করে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি।

পূর্বঘোষিত এই ১০ দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপি দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। ‘২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে’ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। ওরা আমাদের সংস্কৃতি, চিন্তাবোধকে ধ্বংস করেছে। এই আওয়ামী লীগ আবারও তামাশার নির্বাচন করতে চায়।’

‘কিন্তু, না। জনগণ এবার নিজেই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আর এই জনগণের সাথে থেকে এ দানবীয় সরকারকে বিদায় করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে ধ্বংস করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধের দাবিদার আওয়ামী লীগ। এই ২৫ জানুয়ারি তারা গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলো। নতুন প্রজন্ম এই ইতিহাস জানে না। কেন গণতন্ত্র হত্যা করেছেন—আওয়ামী লীগের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। উল্টো বলে বিএনপি নাকি গণতন্ত্র নষ্ট করেছে।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেদিন আপনাদের একদলীয় বাকশাল কায়েমের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, ব্যারিস্টার মঈনুল সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিল। পল্লীকবি জসিমউদ্দীন তার পদক প্রত্যাহার করে নেন।’

‘এই আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ভিন্নমত সহ্য করে না। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মওলানা ভাসানীকে সন্ত্রাসী কায়দায় দল থেকে বের করে দিয়েছিল। এরা সন্ত্রাসী দল।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মনে করে এদেশটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। জনগণকে তারা প্রজা মনে করে। জনগণও তাদের প্রত্যাখান করেছে।’

সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেনসহ প্রমুখ বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালামের সভাপতি এবং দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য আমিনুল হক সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

এর আগে সমাবেশ ঘিরে দুপুর ১২টা থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। দলে-দলে আসেন বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মহিলা দল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে আসেন। তারা রাস্তায় ত্রিফল বিছিয়ে তার ওপর বসেন। ট্রাকের ওপর সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়।

বিএনপির সমাবেশ ঘিরে বিএনপির কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। বিএনপি কার্যালয়ের আশেপাশেও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।