সুমন সরকার, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের অবস্থিত কেন্দ্রী শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। এই জরাজীর্ণ এ শহীদ মিনায়ে ফুল দিয়েই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আবার অনেক সময় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক প্রদান করতে হচ্ছে। তবে অনেকের অভিযোগ উপজেলা প্রশাসন যেটাকে শহীদ মিনার হিসেবে ব্যবহিত করছে তার মধ্যে শহীদ মিনারের কোন আকৃতি নেই। সেই হিসেবে ভাষা দিবসের ৭১ বছর পার হলেও মুরাদনগর উপজেলা সদরে কোন শহীদ মিনার স্থাপিত হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুরাদনগর সদরের ডি আর সরকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অরক্ষিতভাবে পরে আছে একটি স্মৃতিস্তম্ভের আদলে রয়েছে শহীদ মিনার। পাশেই ময়লা আর্বজনা প্লাস্টিকের বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। তাছাড়া এই স্মৃতিস্তম্ভের পাশে ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবন থাকায় বিভিন্ন মানুষজন এখানে করছেন মলমূত্র ত্যাগ। দূর্গন্ধের কারনে স্মৃতিস্তম্ভের পাশে যেতে পারে না সাধারন মানুষ। সাধারন মানুষের দাবি অচিরেই যেন সু-রক্ষিত বাউন্ডারি তৈরি করে এখানে নির্মান করা হয় মুরাদনগর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর-রশিদ বলেন, আমরা প্রতিবছর ২১শে ফেব্রুয়ারিতে ডি আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে^ ফুল দেই। মুরাদনগর উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নেই। শহিদ মিনার নির্মানের ব্যাপারে কেহ ভাবে না। আগামী উপজেলা মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে শহিদ মিনার নিয়ে কথা বলব। আমরাও চাই কেন্দ্রীয়ভাবে যেন মুরাদনগর একটি শহিদ মিনার নির্মান করা হয়।
মুরাদনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি মো: হানিফ বলেন, মুরাদনগরে একটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নেই যা আসলে দু:খজনক। আমি আমাদের এমপি মহোদয়ের নিকট শহিদ মিনার যেন দ্রুত নির্মান করা হয় এ ব্যাপারে কথা বলব।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। আমি স্মৃতিস্তম্ভটি পরিদর্শন করে ভাস্কর হামিদুর রহমানের ডিজাইন অনুযায়ি শহিদ মিনার দ্রুত নির্মানে পদক্ষেপ গ্রহন করব।