ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ১ফুট জায়গা নিয়ে মারামারি, আহত ৫

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে ১২ ইঞ্চি বাড়ির জায়গা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্রামের ধুনু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩২) ও ইমন মিয়া (২৮) একই গ্রামের অপরপক্ষ মৃত চান মিয়া ছেলে আবুল কাশেম (৬৫) ও তার দুই ছেলে টিপু (৩২), নাঈম (৩০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বসতবাড়ির ১২ ইঞ্চি জায়গা নিয়ে বাখরাবাদ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে ধনু মিয়া ও চান মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েক মাস আগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টি সুরাহা করা হলেও তা মেনতে নারাজ আবুল কাশেমের পরিবার। তার ওই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে ধনু মিয়ার ছেলে ইমন কে মারধর করেন আবুল কাশেমের ছেলে টিপু ও নাঈম। ইমন মারধরের শিকার হয়ে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দোকানে বিচার চাইতে গেলে, সেখানেও হামলা চালায় আবুল কাশেমের পরিবার। এতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের পাঁচজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে ধনু মিয়ার দুই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ধনু মিয়া জানান, আবুল কাশেম পার্শ্ববর্তী বাড়ির হওয়ায় সে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের কাছে বলে বেড়াচ্ছিল আমার বাড়ির একাংশে সে জায়গা পায়। অথচ পরবর্তীতে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমি তার কাছে উল্টো ১২ ইঞ্চি জায়গা পাই। সেই জায়গার সূত্র ধরেই আমার দুই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করেছে। এমনকি কাশেমের ছেলে নাঈম মারামারির একপর্যায়ে আমার মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করতে গেলে সেটি গিয়ে তার বাবা কাশেমের মাথায় পরে। এখন বলতেছে আমি নাকি কাশেমের মাথা ফাটাইছি।

অপরপক্ষ আবুল কাশেমের ছেলে টিপু জানান, ধনু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন খুবই বাজে প্রকৃতির মানুষ। তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। শুক্রবার দুপুরের দিকে আমি আমার ছোট ভাই ও আমার বাবা রামচন্দ্রপুর বাজারের চেয়ারম্যান সাহেবের দোকানের সামনে গেলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধনু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের ওপরে হামলা চালায়।

রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল সরকার জানান, শুক্রবার দুপুরে আমি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় ধনু মিয়া ও তার ছেলেরা এসে আমাকে জানায় আবুল কাশেমের ছেলেরা তাদেরকে মারধর করেছে। বিষয়টি আমি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবুল কাশেমের পরিবারের লোকজন এসে হামলা চালায়। মূলত আবুল কাশেমের ছেলেরা একটু দুষ্ট প্রকৃতির সবসময়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, রামচন্দ্রপুর বাজারে মারামারি হয়েছে এই বিষয়টি ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি ছাত্রদলের

মুরাদনগরে ১ফুট জায়গা নিয়ে মারামারি, আহত ৫

আপডেট সময় ০৫:৪০:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

মাহবুব আলম আরিফ, বিশেষ প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মুরাদনগরে ১২ ইঞ্চি বাড়ির জায়গা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের পাঁচজন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্রামের ধুনু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩২) ও ইমন মিয়া (২৮) একই গ্রামের অপরপক্ষ মৃত চান মিয়া ছেলে আবুল কাশেম (৬৫) ও তার দুই ছেলে টিপু (৩২), নাঈম (৩০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বসতবাড়ির ১২ ইঞ্চি জায়গা নিয়ে বাখরাবাদ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে ধনু মিয়া ও চান মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম এর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েক মাস আগে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টি সুরাহা করা হলেও তা মেনতে নারাজ আবুল কাশেমের পরিবার। তার ওই জের ধরে শুক্রবার দুপুরে ধনু মিয়ার ছেলে ইমন কে মারধর করেন আবুল কাশেমের ছেলে টিপু ও নাঈম। ইমন মারধরের শিকার হয়ে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের দোকানে বিচার চাইতে গেলে, সেখানেও হামলা চালায় আবুল কাশেমের পরিবার। এতে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের পাঁচজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে ধনু মিয়ার দুই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ধনু মিয়া জানান, আবুল কাশেম পার্শ্ববর্তী বাড়ির হওয়ায় সে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের কাছে বলে বেড়াচ্ছিল আমার বাড়ির একাংশে সে জায়গা পায়। অথচ পরবর্তীতে সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমি তার কাছে উল্টো ১২ ইঞ্চি জায়গা পাই। সেই জায়গার সূত্র ধরেই আমার দুই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করেছে। এমনকি কাশেমের ছেলে নাঈম মারামারির একপর্যায়ে আমার মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করতে গেলে সেটি গিয়ে তার বাবা কাশেমের মাথায় পরে। এখন বলতেছে আমি নাকি কাশেমের মাথা ফাটাইছি।

অপরপক্ষ আবুল কাশেমের ছেলে টিপু জানান, ধনু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন খুবই বাজে প্রকৃতির মানুষ। তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। শুক্রবার দুপুরের দিকে আমি আমার ছোট ভাই ও আমার বাবা রামচন্দ্রপুর বাজারের চেয়ারম্যান সাহেবের দোকানের সামনে গেলে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধনু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের ওপরে হামলা চালায়।

রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল সরকার জানান, শুক্রবার দুপুরে আমি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় ধনু মিয়া ও তার ছেলেরা এসে আমাকে জানায় আবুল কাশেমের ছেলেরা তাদেরকে মারধর করেছে। বিষয়টি আমি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবুল কাশেমের পরিবারের লোকজন এসে হামলা চালায়। মূলত আবুল কাশেমের ছেলেরা একটু দুষ্ট প্রকৃতির সবসময়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, রামচন্দ্রপুর বাজারে মারামারি হয়েছে এই বিষয়টি ৯৯৯ এর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।