মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুরে গ্রামে সরকারি খাল ভরাট করে পাকা বসতবাড়ী ও দোকান নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পয়নিস্কাশনের একমাত্র খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি বন্দি হয়ে পড়ে দুই শতাধিক পরিবার। বিষয়টি স্থানীয় ভূমি অফিসে অভিযোগ করার পর গত জুলাই মাসে ৫জন দখলদারের বিরুদ্বে ৫কার্য দিবসের মধ্যে খালের মাটি সরিয়ে নিয়ে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য নোটিশ প্রেরণ করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস। এই নোটিশ দিয়েই যেন দায় মুক্ত ভূমি কর্তারা।
বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার বিকেলে দখল হওয়া খালটি পরিদর্শন করে উচ্ছেদ মামলাসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি পুনরুদ্ধার করার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর পূর্বপাড়া এলাকায় নিমাইজুরী খালের উপ-শাখা নবীপুর মৌজার পূর্বপাড়ায় বিএস ১নং খাস খতিয়ানের ৪০১০ দাগের প্রায় ১একর আয়তনের খালটি দফায় দফায় ভরাট করে পাকা বসতবাড়ী, বাগানবাড়ী ও দোকান নির্মাণ করেছে একটি দখলদার চক্র। পয়নিস্কাশনের একমাত্র খালটি দখল হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে তৎকালীন এসিল্যান্ড নাজমুল হুদার নির্দেশে খালটির দখলদার বিল্লাল হোসেন, কবির হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, সহিদ উল্লাহ, আনু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি নোটিশ জারী করে ইউনিয়ন ভূমি অফিস। নোটিশে ৫কার্য দিবসের মধ্যে খালের মাটি সরিয়ে না নিলে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলা হলেও ৬০দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ। ভূমি অফিসের এই নিরবতায় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, এই খালটি পুনরুদ্ধার করার জন্য আইনানুগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি দখল মুক্ত করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন ভূঞা জনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, আমরা মুরাদনগর উপজেলায় দখল হয়ে যাওয়া সকল খাল উদ্ধারের জন্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।