খেলাধুলা ডেস্কঃ
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে যেন ব্যাটিং করতেই ভুলে গিয়েছিলেন পাকিস্তান। ১৩৩ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৫ রানেই হারায় ৫ উইকেট। এরপর যে কেউই ভেবে নিবে খুব সহজেই জিতে যাবে বাংলাদেশ।
কিন্তু না! বাংলাদেশের বুকে কাপন ধরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন মাত্র ৩১ বলে ৫১ রান। আর এতেই বাংলাদেশের রান প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান আর বাংলাদেশের ১ উইকেট। প্রথম বলে অভিষিক্ত দানিয়াল ৪ মেরে বাংলাদেশের সমর্থকদের হার্টবিট বাড়িয়ে দেন।
কিন্তুু বোলারের নামটা মোস্তাফিজ। পরের বলেই শামিমের ক্যাচে দানিয়ালকে ফেরান তিনি। আর এতেই মাত্র ৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই ফাহিম আশরাফকে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন নাঈম শেখ। ৭ বলে ৩ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। নাঈমের পর ক্রিজে আসা অধিনায়ক লিটন দাসও ফিরেছেন ক্যাচ দিয়ে। সালমান মির্জার করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন লিটন। সাজঘরে ফিরেছেন ৯ বলে ৮ রান করে।
প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা শুরু থেকেই চাপ ধরে রাখেন এবং নিয়মিত উইকেট তুলে নেন। পাওয়ার–প্লেতেই ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছে জাকের–মেহেদীর ৫৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। মেহেদী ৩৩ রানে আউট হয়েছেন। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া জাকের করেছেন ৪৮ বলে ৫৫ রান।
জাকের আলীর লড়াকু হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ১৩৩ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। দলের ব্যাটিং লাইনআপ যখন একের পর এক ভেঙে পড়ছিল, তখন একপ্রান্ত আগলে রাখেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
এই রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান মাত্র ৪৭ রানে হারায় ৭ উইকেট। এরপর প্রথমে আব্বাস আফ্রিদী পরে দানিয়ালকে নিয়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যান ফাহিম আশরাফ। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন শরীফুল, ২৩ রানে ২ উইকেট নেন সাকিব, ২৫ রানে ২ উইকেট নেন মেহেদী, ১৫ রানে ১ উইকেট নেন মোস্তাফিজ, ৪২ রানে ১ উইকেট নেন রিশাদ।