মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
দুই দিনে চার দোকানে চুরির রেশ কাটতে না কাটতেই তৃতীয় দিনের মাথায় আবারও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদর বাজারে বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১ অক্টোবর ) দিবাগত রাতে মুরাদনগর ডি. আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব পাশে রড সিমেন্টের দোকান মেসার্স ফামিনহা ট্রেডার্সে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
চোরের দল দোকানের ক্যাশে থাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা সহ দোকানের সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। এর আগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ও মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মুরাদনগর বাজারে চারটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। বাজারে এভাবে বারবার চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল মুরাদনগর বাজারের ডি. আর সরকারি উচ্চ মাঠের পূর্ব পাশে রড সিমেন্টের দোকান মেসার্স ফামিনহা ট্রেডার্সের পেছন দিকের টিন কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে নগদ টাকা সহ সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায় চোরের দল।
মেসার্স ফামিনহা ট্রেডার্সের মালিক ওমর ফারুক অসুস্থতা জনিত কারনে ঢাকায় চিৎিসা নিতে যাওয়ায় দোকান চালাচ্ছিলেন তারই ভাতিজা কামরুল হাছান। তিনি জানান, দোকানে তিনদিনের ব্যবসার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল। আজকে পার্টিকে মালের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সকালে এসে দোকান খুলে দেখি আমার দোকানের জিনিসপত্র এলোমেলো ও দোকানের ক্যাশ ভাঙ্গা। দোকানে থাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ দোকানের ভিতরের সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।
মুরাদনগর বাজারের ব্যবসায়ী হোমিওপ্যাথিক ডাক্তর নাজমুস সাকিব তন্ময় বলেন, কিছুদিন পরপরই বাজারে চুরি হচ্ছে। গত কিছুদিন আগে আমার দোকানের গোডাউনে ও আমার পার্শ্ববর্তী স্বর্নের দোকানে চুরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যবসায় পুঁজি খাটিয়ে এখন নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে। সব সময় চুরি হওয়ার আতংকে থাকতে হয়। এব্যপারে আমরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আশেপাশের দোকানদার ও স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকায় গত কয়েক মাসে বিভিন্ন দোকানে ও বাজারের আশেপাশের বিভিন্ন বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতগুলো চুরির ঘটনা ঘটার পরও এখনো পর্যন্ত কোন চোর ধরা পড়েনি। এলাকায় মাদকাসক্ত লোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ চুরির ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে বলেও জানান স্থানীয়রা। তাছাড়া চোরের উৎপাতে সারাক্ষণ আতঙ্কে রয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। প্রশাসন দ্রুত এব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। থানায় কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।