মো: নাজিম উদ্দিন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
নিজের ১বছর বয়সী পুত্র সন্তানের মুখ দেখা হলোনা সৌদি আরবের দাম্মামে দূর্ঘটনায় নিহত আরিফের। অপর দিকে, বাবার আদর তো দুরের কথা জীবিত অবস্থায় বাবার মুখ দেখাটাও যে কপালে নেই নিহত আরিফের ছেলে আরিয়ানের। পরিবারের সদস্যদের কান্না কাটি দেখে শুধু তাকিয়ে থাকে সে। বুঝেনা সে কান্নার পেছনে কি কারন রয়েছে। জানেনা তার জীবন শুরুর আগেই জীবন থেকে মুছে গেছে বাবার আদর -স্নেহ ও ভালবাসা। ছোট্ট আরিয়ান এও জানেনা যে বাবা ডাকা শেখার আগেই চিরতরে সেই সুযোগও হারিয়েছে সে।
রবিবার সকালে আরিফের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর মধ্য পাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে কান্নার রোল। তার পিতার নাম মৃত আব্দুল কাদের। মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের মা, ভাই-বোন ও স্বজনরা। এ খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় নিহত আরিফের মুরাদনগর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
শনিবার সৌদি আরবের দাম্মামের জলদিয়া এলাকায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের সময় পাইপের ভেতরে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন আরিফ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সকাল এগারোটার দিকে বোরিংয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটা পাইপের ভেতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তাদের মরদেহ দাম্মাম সেন্ট্রাল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আরিফ (২৭) ওই পরিবারের চতুর্থ সন্তান। পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তিনি প্রায় ৮ বছর আগে সৌদি আরবে যান। তার উপার্জনের টাকায় মা, স্ত্রী রেহানা আক্তার ও এক বছরের একমাত্র সন্তানসহ ৮ সদস্যের পরিবারটি চলতো। আরিফের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পরিবারটি নিরুপায় হয়ে পড়েছে।
তার পরিবারের সদস্যরা লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।