ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ইউপি পরিষদের ভবন সংকটে দুই লক্ষ মানুষের চরম ভোগান্তি

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় না থাকা, ভবন সংকট, জর্রজরিত ভবন ও আধুনিক নতুন ভবন নির্মিত না হওয়ায় এতে করে দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। তেমনি জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন নানা বেকায়দায়। কোথাও ভাড়া ঘরে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম। যখন যিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন তখন তার পছন্দের স্থানে অস্থায়ীভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এগুলো ভ্রাম্যমাণ ইউপি কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদগুলোর সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়নের লোক সংখ্যা ১ লক্ষ ৭২ হাজার ২ শত ৯৯ জন। ১০৫টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত মুরাদনগর সদর, নবীপুর পশ্চিম, নবীপুর পূর্ব, আকবপুর, পূর্বধৈইর পূর্ব. বাঙ্গরা পশ্চিম রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ। কোথাও ভবন থাকলেও দিনে দিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে সম্পূর্ন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের দরজা, জানালা এমনকি ছাদটাও নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে সেটি সংস্কার ও মেরামতেরও অযোগ্য। তাই ঘর ভাড়া করে চলছে সকল কার্যক্রম। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতক জমি প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে কোন কোন ইউনিয়ন পরিষদের জমি নেই আবার কোন ইউনিয়নের জমি থাকলেও পরিমানে কম থাকায় স্থায়ী ভাবে ও আধুনিক কোন কার্যালয় নির্মানণ করা যাচ্ছেনা। তাই বাধ্য হয়ে যখন যে চেয়ারম্যান আসে তার সুবিধামত অস্থায়ী ভাবে ভাড়া করে অফিস করে ইউপির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট কোন কার্যালয় না ও স্থান সংকট থাকায় এলাকার লোকজনকে কষ্ট পেতে হয়। ভিজিডি বা ভিজিএফ অথবা খয়রাতি চালের জন্য যেতে হয় অনেক দূরে। আবার সেখানে দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। কিছুদিন পর পর কার্যালয়ের স্থান পরির্বতনের কারনে কার্যালয় না চিনার কারনে ভোগান্তিতে পরতে হয় সাধারন লোকদের।

বাঙ্গরা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, এ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভবনটি  অনেক বছর থেকে পরিতেক্ত হওয়ায় ভ্রম্যমান ভাবে পরিষদের কাযক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরিষদের নামে ১১০শতক জমি থাকার পরও পূর্বের চেয়ারম্যান তার নিজ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের ভবন তৈরী করতে চাচ্ছিলেন। সেই কারনেই বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি এখনও হয়নি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর চেষ্ঠা করছি এবার যেন ভবনটি কাজ শুরু করা যায়।

রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভবনের খুব জর্রাজীণ অবস্থা। ছোট পরিশরের ভবন হওয়া আমরা ইউপি সদস্যদের নিয়ে কোন প্রকার সভা করতে না পাড়া, ভিজিডি বা ভিজিএফ চাল পরিষদে বিতরন করা যাচ্ছেনা, অন্য স্থানে তা বিতরন করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল মুনসুর মিয়া জানান, ২৫ শতাংশ জমি না থাকা আবার কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের রেজিষ্ট্রি করা জমি না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। জমির পরিমান ও রেজিষ্ট্রিকরা সম্পত্তি হলে আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমতি ক্রমে সেখানে ভবন করার প্রস্তাব পাঠানো হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

মুরাদনগরে ইউপি পরিষদের ভবন সংকটে দুই লক্ষ মানুষের চরম ভোগান্তি

আপডেট সময় ০৩:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কার্যালয় না থাকা, ভবন সংকট, জর্রজরিত ভবন ও আধুনিক নতুন ভবন নির্মিত না হওয়ায় এতে করে দীর্ঘদিন যাবত ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা নাগরিকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। তেমনি জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন নানা বেকায়দায়। কোথাও ভাড়া ঘরে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম। যখন যিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন তখন তার পছন্দের স্থানে অস্থায়ীভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এগুলো ভ্রাম্যমাণ ইউপি কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদগুলোর সূত্রে জানা যায়, ৭টি ইউনিয়নের লোক সংখ্যা ১ লক্ষ ৭২ হাজার ২ শত ৯৯ জন। ১০৫টি গ্রামের সমন্বয়ে গঠিত মুরাদনগর সদর, নবীপুর পশ্চিম, নবীপুর পূর্ব, আকবপুর, পূর্বধৈইর পূর্ব. বাঙ্গরা পশ্চিম রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ। কোথাও ভবন থাকলেও দিনে দিনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে সম্পূর্ন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভবনের দরজা, জানালা এমনকি ছাদটাও নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে সেটি সংস্কার ও মেরামতেরও অযোগ্য। তাই ঘর ভাড়া করে চলছে সকল কার্যক্রম। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতক জমি প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে কোন কোন ইউনিয়ন পরিষদের জমি নেই আবার কোন ইউনিয়নের জমি থাকলেও পরিমানে কম থাকায় স্থায়ী ভাবে ও আধুনিক কোন কার্যালয় নির্মানণ করা যাচ্ছেনা। তাই বাধ্য হয়ে যখন যে চেয়ারম্যান আসে তার সুবিধামত অস্থায়ী ভাবে ভাড়া করে অফিস করে ইউপির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন গ্রামের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের নির্দিষ্ট কোন কার্যালয় না ও স্থান সংকট থাকায় এলাকার লোকজনকে কষ্ট পেতে হয়। ভিজিডি বা ভিজিএফ অথবা খয়রাতি চালের জন্য যেতে হয় অনেক দূরে। আবার সেখানে দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। কিছুদিন পর পর কার্যালয়ের স্থান পরির্বতনের কারনে কার্যালয় না চিনার কারনে ভোগান্তিতে পরতে হয় সাধারন লোকদের।

বাঙ্গরা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, এ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভবনটি  অনেক বছর থেকে পরিতেক্ত হওয়ায় ভ্রম্যমান ভাবে পরিষদের কাযক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পরিষদের নামে ১১০শতক জমি থাকার পরও পূর্বের চেয়ারম্যান তার নিজ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের ভবন তৈরী করতে চাচ্ছিলেন। সেই কারনেই বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি এখনও হয়নি। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর চেষ্ঠা করছি এবার যেন ভবনটি কাজ শুরু করা যায়।

রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ভবনের খুব জর্রাজীণ অবস্থা। ছোট পরিশরের ভবন হওয়া আমরা ইউপি সদস্যদের নিয়ে কোন প্রকার সভা করতে না পাড়া, ভিজিডি বা ভিজিএফ চাল পরিষদে বিতরন করা যাচ্ছেনা, অন্য স্থানে তা বিতরন করতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল মুনসুর মিয়া জানান, ২৫ শতাংশ জমি না থাকা আবার কোন ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের রেজিষ্ট্রি করা জমি না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছেনা। জমির পরিমান ও রেজিষ্ট্রিকরা সম্পত্তি হলে আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুমতি ক্রমে সেখানে ভবন করার প্রস্তাব পাঠানো হবে।