ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগর চাপিতলা গণ হত্যা দিবসে নেই কোন কর্মসূচি

মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

বছরেও নির্মিত হয়নি স্মৃতিসৌধ। এতে ঐ শহীদের পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাসীদের মাঝে রয়েছে ক্ষোভ।  শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে চাপিতলা গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর আ হ ম মোজাম্মেল হক নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত হয়ে আছে।

জানা যায়, উপজেলার রাজা-চাপিতলা গ্রামে ১৯৭১ সলের ৩১ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদারদের গুলিতে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫১ জন নর-নারী শহীদ ২০১৪ সালের ৩১ আগষ্ট চাপিতলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে চাপিতলা গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট আবেদন করলে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ হ ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি তালিকাভূক্ত করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ, এম, মোক্তার হোসেন মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংরক্ষণ শীর্ষক প্রণয়ানাধীন প্রকল্পে বিষয়টি অন্তড়র্ভুক্ত করার জন্য ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন (যার স্মারক নং ৪৫০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদারদের অত্যাধুনিক অস্ত্রে সু-সজ্জিত একটি বিশাল বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫১ জন নারী-পুরুষ শহীদ হয়। এ ঘটনায় ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত, ২১ নারীর শ্লীতাহানি ২০৬টি বাড়ি ও অর্ধ-শতাধিক গবাদি পশু জ্বালিয়ে দেয়াসহ ব্যাপক লুন্ঠন করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাঙ্গালি জাতির গৌরবময় ইতিহাস ও বীরত্বে গাঁথা রাজা চাপিতলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মূখ সমরের স্মৃতি রক্ষার্থে স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও কোন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের এখন গণদাবি রাজা চাপিতলা গ্রামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, শহীদদের কবর সংরক্ষণ, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ পূণর্বাসন করা হউক।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কান্ডার মো: হারুন-অর-রশিদ জানান, আমরা মন্ত্রনালয়সহ বেশ কয়ক বার তদবির করেছি কোন ফলাফল পাইনায়। এখন স্থানীয় ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, শুনেছি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  শহীদদের সামরণে চাপিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্মৃতিসৌধ হওয়ার কথা ছিল তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইউম খসরু বলেন, ঐখানে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা আমি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কান্ডারের কাছে চেয়েছি। নামের তালিকা পেলে অচিরেই চাপিতলা প্রইমারি স্কুল মাঠে শহিদদের নাম উল্ল্যেখ করে স্মৃতিসৌধ নির্মানের কাজ শেষ হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

মুরাদনগর চাপিতলা গণ হত্যা দিবসে নেই কোন কর্মসূচি

আপডেট সময় ০২:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৬
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ

বছরেও নির্মিত হয়নি স্মৃতিসৌধ। এতে ঐ শহীদের পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের বিশ্বাসীদের মাঝে রয়েছে ক্ষোভ।  শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে চাপিতলা গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর আ হ ম মোজাম্মেল হক নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হলেও মন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষিত হয়ে আছে।

জানা যায়, উপজেলার রাজা-চাপিতলা গ্রামে ১৯৭১ সলের ৩১ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদারদের গুলিতে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫১ জন নর-নারী শহীদ ২০১৪ সালের ৩১ আগষ্ট চাপিতলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে চাপিতলা গ্রামে স্মৃতিসৌধ নির্মানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট আবেদন করলে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ হ ম মোজাম্মেল হক বিষয়টি তালিকাভূক্ত করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ, এম, মোক্তার হোসেন মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ সংরক্ষণ শীর্ষক প্রণয়ানাধীন প্রকল্পে বিষয়টি অন্তড়র্ভুক্ত করার জন্য ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন (যার স্মারক নং ৪৫০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদারদের অত্যাধুনিক অস্ত্রে সু-সজ্জিত একটি বিশাল বাহিনীর সাথে সম্মুখ সমরে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫১ জন নারী-পুরুষ শহীদ হয়। এ ঘটনায় ২০ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত, ২১ নারীর শ্লীতাহানি ২০৬টি বাড়ি ও অর্ধ-শতাধিক গবাদি পশু জ্বালিয়ে দেয়াসহ ব্যাপক লুন্ঠন করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাঙ্গালি জাতির গৌরবময় ইতিহাস ও বীরত্বে গাঁথা রাজা চাপিতলা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মূখ সমরের স্মৃতি রক্ষার্থে স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও কোন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের এখন গণদাবি রাজা চাপিতলা গ্রামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, শহীদদের কবর সংরক্ষণ, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিসহ পূণর্বাসন করা হউক।

এ বিষয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কান্ডার মো: হারুন-অর-রশিদ জানান, আমরা মন্ত্রনালয়সহ বেশ কয়ক বার তদবির করেছি কোন ফলাফল পাইনায়। এখন স্থানীয় ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, শুনেছি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  শহীদদের সামরণে চাপিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে স্মৃতিসৌধ হওয়ার কথা ছিল তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি।

মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল কাইউম খসরু বলেন, ঐখানে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকা আমি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কান্ডারের কাছে চেয়েছি। নামের তালিকা পেলে অচিরেই চাপিতলা প্রইমারি স্কুল মাঠে শহিদদের নাম উল্ল্যেখ করে স্মৃতিসৌধ নির্মানের কাজ শেষ হবে।