জাতীয় ডেস্কঃ
‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ৮ নভেম্বর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’ এ কথা উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এটি জাতীয় দিবস। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। জনসমাবেশ সফল করতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন পুরোদমে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’
আজ রবিবার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘৮ নভেম্বরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেক্কারজনক খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। সোহরাওয়ার্দীতে অনুমতি না পাওয়ায় নয়াপল্টনে অনুমতি চেয়েছি। সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি কেন দেয়া হয়নি জানতে পারিনি। নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছি সেটাও মিডিয়ার সামনে দেখিয়েছি। সিল সাপ্পরসহ। তবে পুলিশের ভিভ্রান্তিমূলক কথা জনগণকে হতবাক করেছে।’
তিনি বলেন, ‘৪০ বছর ধরে বিএনপি এ কর্মসূচি পালন করছে। প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার কারণে সরকার এবারই প্রথম বাধা দিচ্ছে। এখন তো কোনো আন্দোলন সংগ্রাম নেই তারপরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। গ্রেফতারের উদ্দেশ্য ভীতি সৃষ্টি করা। আতঙ্ক সৃষ্টি করা।’
এখনো আশা করি ৮ নভেম্বর অনুমতি পাওয়া যাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাষ্ট্রের, দলের নয়। দানবের মতো আচরণ করলে গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে না।
গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার নিষ্ঠুর যন্ত্রে পরিণত করতে গিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি কৃষ্ণ গহ্বরের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ওই দিন সকাল ১০টায় জিয়াউর রহমানের সমাধিতে বিএনপি চেয়ারপারসন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। ফাতেহা পাঠ করবেন। এছাড়া দেশব্যাপী সব ইউনিটে কর্মসূচি পালন করা হবে। যথাসময়ে সমাধিতে থাকার জন্য নেতাকর্মীদরকে তিনি অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।