মো: হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নবম উত্তীর্ণ (ভোকেশনাল) গনিত পরীক্ষায় নকলে সহযোগিতা ও নকল করার দায়ে ৩ শিক্ষক ও ৩ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
একই সাথে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।। নকলে সহযোগিতার অভিযোগে ৩ শিক্ষককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার নবম উত্তীর্ণ (ভোকেশনাল) গনিত পরীক্ষা চলঅকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের।
বহিস্কৃত শিক্ষকরা হলেন, শ্রীকাইল কে. কে উচ্চ বিদ্যালয়ের (খন্ডকালীন) ফারজানা আক্তার, হায়দরাবাদ মাসুম বিল্লাল দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল আউয়াল বিঞ্চপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিদা আক্তার।
বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, শ্রীকাইল কে. কে উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী আশরাফুল, শাহ আলী ও জুনায়েদ।
জানা যায়, উপজেলার রামচন্দ্রপুর আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার নবম উত্তীর্ণ (ভোকেশনাল) গনিত পরীক্ষায় নকল করার দায়ে ৩ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের। একই সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষক ফারজানা আক্তারকে ১০ হাজার, আব্দুল আউয়ালকে ২০ হাজার ও শাহিদা আক্তার ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এ দিকে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাকী পরীক্ষাগুলোর জন্য অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক আবু হানিফ ভূইয়াকে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাবলিক পরীক্ষা সমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০ এর ৯ ধারা মোতাবেক দুই শিক্ষককে জরিমানা করা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নকলের প্রবণতা থেকে ফেরে আসার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।