ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন নূর হোসেন ও তারেক সাঈদসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ

জাতীয় ডেস্ক রির্পোটঃ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬জনের ফাঁসি ও ৯জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- র‍্যাবের  চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর। এর সবাই র‌্যাব-১১ তে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকিরা হলেন-সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তার সহযোগী মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আলী মোহাম্মদ, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান (চার্চিল), সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।  মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে সেলিম, সানাউল্লাহ ও শাহজাহান পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া অপহরণের দায়ে র‌্যাবের সাবেক সদস্য এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, করপোরাল মোখলেছুর রহমান, করপোরাল রুহুল আমিন, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক নুরুজ্জামানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিন  সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে অপহরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সরানোর দায়ে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে যথাক্রমে ১০ বছর ও ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আসামিদের আদালতের হাজতখানা থেকে কাঠগড়ায় স্থাপিত লোহার খাঁচার মধ্যে রাখা হয়।
এর আগে গ্রেফতারকৃত ২৩ অাসামিকে দুই ভাগে সকাল ৯টা ৮ মিনিট ও ৯টা ৪০ মিনিটে কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আনা হয়। এ সময় সব আসামিকেই ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।
প্রথমে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার এবং পরে প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ৫ জনকে আদালতে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং পরদিন প্রায় একই স্থান থেকে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।
নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র‌্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও আর্থিক  লেনদেনের সত্যতা মেলে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। দু’টি মামলায় ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলেও সে সময় অধরা ছিল নূর হোসেনসহ ১৩ আসামি।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন নূর হোসেন ও তারেক সাঈদসহ ২৬ জনের ফাঁসির আদেশ

আপডেট সময় ০৮:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
জাতীয় ডেস্ক রির্পোটঃ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও সাবেক তিন র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ২৬জনের ফাঁসি ও ৯জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- র‍্যাবের  চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দ বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুনশি, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সৈনিক আল আমিন, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবীর। এর সবাই র‌্যাব-১১ তে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাকিরা হলেন-সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, তার সহযোগী মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী, আলী মোহাম্মদ, আবুল বাশার, মোর্তুজা জামান (চার্চিল), সেলিম, সানাউল্লাহ ছানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও ম্যানেজার জামাল উদ্দিন।  মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে সেলিম, সানাউল্লাহ ও শাহজাহান পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া অপহরণের দায়ে র‌্যাবের সাবেক সদস্য এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই কামাল হোসেন, করপোরাল মোখলেছুর রহমান, করপোরাল রুহুল আমিন, কনস্টেবল বাবুল হাসান ও সৈনিক নুরুজ্জামানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণ সরানোর দায়ে এএসআই বজলুর রহমান ও হাবিলদার নাসির উদ্দিন  সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে অপহরণ ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সরানোর দায়ে কনস্টেবল হাবিবুর রহমানকে যথাক্রমে ১০ বছর ও ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আসামিদের আদালতের হাজতখানা থেকে কাঠগড়ায় স্থাপিত লোহার খাঁচার মধ্যে রাখা হয়।
এর আগে গ্রেফতারকৃত ২৩ অাসামিকে দুই ভাগে সকাল ৯টা ৮ মিনিট ও ৯টা ৪০ মিনিটে কাশিমপুর ও নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আনা হয়। এ সময় সব আসামিকেই ডাণ্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।
প্রথমে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার এবং পরে প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ ৫ জনকে আদালতে আনা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জনের এবং পরদিন প্রায় একই স্থান থেকে আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়।
নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সে সময় অভিযোগ করেন, র্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে র‌্যাবের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও আর্থিক  লেনদেনের সত্যতা মেলে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন এবং র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। দু’টি মামলায় ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলেও সে সময় অধরা ছিল নূর হোসেনসহ ১৩ আসামি।