ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক যুগ পর একই মঞ্চে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের নেতারা

নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার তিতাসে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিরাজমান দু’গ্র“পের ভেদাভেদ ভুলে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে হানাহানি ও আতংককে পেছনে ফেলে শক্তিশালী উপজেলা আওয়ামীলীগের দূর্গ গড়ার অঙ্গীকার করেন।

শনিবার উপজেলার বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হওয়ায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আঃ মজিদকে সংবর্ধনা দেয়া অনুষ্ঠানে তারা এ অঙ্গীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করে তাদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এতে এক গ্র“প অন্য গ্র“পের মাঝে কাঁদা ছুটাছুটির থেকে শুরু করে হত্যাকান্ডের মতো জঘন্য বির্তকের সৃষ্টি করে। দলীয় কোন্দলের ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। একেক জন একেক বাহিনী তৈরী করে নিজেদের মতো এলাকায় প্রভাব বিস্তারের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসব গ্র“পিংয়ের কারণে এলাকার নেতাকর্মীরা যেমন সাধারণ ভোটারের কাছ থেকে বিচিছন্ন হয়ে যাওয়ায় দলীয় কার্যক্রমেও নেমে আসে স্থবিরতা। ‘কে কোন গ্র“পের লোক’ এসব বির্তক ও অনিশ্চয়তা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি করে। ফলে তিতাসে আওয়ামীলীগের রাজনীতি চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ে।

সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ২বছর যাবৎ শওকত ও পারভেজ গ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। একদিকে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, মোঃ মহসিন ভূঁইয়া সাধারণ সম্পাদক ও সাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তাদের কমিটি বৈধ বলে দাবী করলেও অপরদিকে পারভেজ হোসেন সরকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, দেওয়ান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ নূর নবী সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবেও তাদের কমিটি বৈধ বলে দাবি করেন।

পাল্টাপাল্টি দলীয় পরিচিতির বেড়া থেকে বেরিয়ে এসে একি মঞ্চে উপস্থিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ ও দলীয় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে প্রতীয়মান হয়। একে অন্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে শওকত হোসেনকে সভাপতি, মোঃ মহসিন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক ও সাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করে তিতাসে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী দূর্গ গড়ার অঙ্গীকার করেন।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশিং কমিটির সভাপতি পারভেজ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা-২ (তিতাস-হোমনা) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আমির হোসেন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আঃ মজিদ, তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসীন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক মুন্সি মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর, উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নূর নবী, সামছুল হক সরকার, মজিবুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিএম সামছুল হক, উপজেলা যুবসংহিতর সভাপতি মোঃ শেখ ফরিদ, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ গণি, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেব প্রসাদ ভট্টার্চায্য প্রমূখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

এক যুগ পর একই মঞ্চে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের নেতারা

আপডেট সময় ০১:৫০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০১৭
নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার তিতাসে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিরাজমান দু’গ্র“পের ভেদাভেদ ভুলে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে হানাহানি ও আতংককে পেছনে ফেলে শক্তিশালী উপজেলা আওয়ামীলীগের দূর্গ গড়ার অঙ্গীকার করেন।

শনিবার উপজেলার বাতাকান্দি সরকার সাহেব আলী আবুল হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হওয়ায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আঃ মজিদকে সংবর্ধনা দেয়া অনুষ্ঠানে তারা এ অঙ্গীকার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালে উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করে তাদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

এতে এক গ্র“প অন্য গ্র“পের মাঝে কাঁদা ছুটাছুটির থেকে শুরু করে হত্যাকান্ডের মতো জঘন্য বির্তকের সৃষ্টি করে। দলীয় কোন্দলের ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। একেক জন একেক বাহিনী তৈরী করে নিজেদের মতো এলাকায় প্রভাব বিস্তারের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসব গ্র“পিংয়ের কারণে এলাকার নেতাকর্মীরা যেমন সাধারণ ভোটারের কাছ থেকে বিচিছন্ন হয়ে যাওয়ায় দলীয় কার্যক্রমেও নেমে আসে স্থবিরতা। ‘কে কোন গ্র“পের লোক’ এসব বির্তক ও অনিশ্চয়তা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি করে। ফলে তিতাসে আওয়ামীলীগের রাজনীতি চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ে।

সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিগত ২বছর যাবৎ শওকত ও পারভেজ গ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। একদিকে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, মোঃ মহসিন ভূঁইয়া সাধারণ সম্পাদক ও সাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে তাদের কমিটি বৈধ বলে দাবী করলেও অপরদিকে পারভেজ হোসেন সরকার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, দেওয়ান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সাধারণ সম্পাদক ও মোঃ নূর নবী সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবেও তাদের কমিটি বৈধ বলে দাবি করেন।

পাল্টাপাল্টি দলীয় পরিচিতির বেড়া থেকে বেরিয়ে এসে একি মঞ্চে উপস্থিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ ও দলীয় মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে প্রতীয়মান হয়। একে অন্যকে ফুল দিয়ে বরণ করে শওকত হোসেনকে সভাপতি, মোঃ মহসিন ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক ও সাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করে তিতাসে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী দূর্গ গড়ার অঙ্গীকার করেন।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশিং কমিটির সভাপতি পারভেজ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা-২ (তিতাস-হোমনা) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আমির হোসেন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আঃ মজিদ, তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসীন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার, সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক মুন্সি মজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর, উপজেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নূর নবী, সামছুল হক সরকার, মজিবুর রহমান, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিএম সামছুল হক, উপজেলা যুবসংহিতর সভাপতি মোঃ শেখ ফরিদ, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ গণি, প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেব প্রসাদ ভট্টার্চায্য প্রমূখ।