জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পাঠালে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে যদি জেলে পাঠানো হয়, তাহলে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ এ নির্বাচন মেনে নিবে না। এবং দেশ প্রেমিক কোনো দল এ নির্বাচনে অংশ নিবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সেই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হতে হবে। সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং সকলে কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। এই জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বুধবার বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনী মিলনায়তনে এ এক আলোচনায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সহায়ক সরকারের দাবি’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (এনপিপি)। এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের একটা আশা ও আস্থা ছিল যে, রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের জায়গা থেকে উঠে এসে দেশে ও মানুষের জন্য একটি ভুমিকা রাখবেন। দুর্ভাগ্য আমাদের তিনি রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব ও ভূমিকার রাখতে পারেননি। তিনি যে সার্চ কমিটি গঠন করছেন এটা নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে বলেছি তা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। তারা যে নির্বাচন কমিশন আমাদের সামনে দিয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমরা বলেছি, যে এই নির্বাচন কমিশনার একজন দলীয় ব্যক্তি। এটা পরিস্কার করে বলেছি এতে কোনো রাগঢাকের কিছু নেই। ছাত্র জীবনে তিনি এই দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, নেতা ছিলেন। পরবর্তিকালে তার দলবাজির কারণে তিনি সরকারী চাকুরিও হারিয়েছেন। এবং চিহ্নিত একজন আওয়ামী লীগার হিসেবে তার নিজের পরিচয় পাকাপোক্ত করেছেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচারনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এসবের প্রমান আছে। এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের দলীয় সদস্য।সেই মানুষটিই প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আজকে শপথ নিয়েছে।