ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতাসে দু’গ্রামবাসীর দুঃখ বাঁশের সাঁকো

নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার তিতাসে প্রথম স্বরসতিরচর ও দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের মাঝখানের খালের উপর কোন পাকা সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচল করতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে অদ্যবধি উক্ত স্থানে কোন সেতু/কালর্র্ভাট নির্মাণ না হওয়ায় উক্ত দু’গ্রামবাসীর দুঃখের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ সাঁকোটি।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের দ্বিতীয় স্বরসতিরচর থেকে প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকোটি। প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামে কোন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা না থাকায় উক্ত গ্রামের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়ন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়, স্বরসতিরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্বরসতিচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরকুমারিয়া মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, উক্ত সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামের প্রায় দু’শতাধিক লোক জীবনের তাগিদে ও দৈনন্দিন কাজে যেমন যাতায়াত করে তেমনি দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষক কৃষি কাজের জন্য উক্ত সাঁকোটি ব্যবহার করেন।

দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের আফিয়া খাতুন জানান, আমাদের চাষবাদের জমি নদী এলাকায় হওয়ায় এই সাঁকো দিয়ে আমাদের ফসল আনা নেয়া করতে হয়। প্রতিদিনই এখান দিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাতায়াত করে।

প্রথম স্বরসতিচর গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এই বাঁশের সাঁকোটি দু’গ্রামবাসীর একটি দুঃখ। ছোট বেলা থেকেই দেখছি এখানে বাঁশের সাঁকো। কবে এখানে ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মাণ হবে তা বলতে পারছি না। তবে প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামের নাজির হোসেনের বাড়ি থেকে দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের করিম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে উভয় গ্রামের লোকজনই উপকৃত হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নোমান জানান, জায়গাটি আমি পরিদর্শন করেছি। খালের প্রস্থ বেশি হওয়ায় এখানে ছোট ব্রীজ বা কালর্ভাট নির্মাণ করা সম্ভব নয়।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করেছেন। আমি স্থানটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মকিমা বেগম বলেন, প্রথম স্বরসতিরচর ও দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের মাঝখানে খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু খালটির প্রস্থ বেশি সেহেতু এখানে এলজিইডি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। আশা করি খুব শীঘ্রই এর কার্যক্রম চালু হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

তিতাসে দু’গ্রামবাসীর দুঃখ বাঁশের সাঁকো

আপডেট সময় ০১:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার তিতাসে প্রথম স্বরসতিরচর ও দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের মাঝখানের খালের উপর কোন পাকা সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচল করতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে অদ্যবধি উক্ত স্থানে কোন সেতু/কালর্র্ভাট নির্মাণ না হওয়ায় উক্ত দু’গ্রামবাসীর দুঃখের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ সাঁকোটি।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের দ্বিতীয় স্বরসতিরচর থেকে প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ বাঁশের সাঁকোটি। প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামে কোন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা না থাকায় উক্ত গ্রামের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউনিয়ন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়, স্বরসতিরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্বরসতিচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরকুমারিয়া মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, উক্ত সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামের প্রায় দু’শতাধিক লোক জীবনের তাগিদে ও দৈনন্দিন কাজে যেমন যাতায়াত করে তেমনি দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষক কৃষি কাজের জন্য উক্ত সাঁকোটি ব্যবহার করেন।

দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের আফিয়া খাতুন জানান, আমাদের চাষবাদের জমি নদী এলাকায় হওয়ায় এই সাঁকো দিয়ে আমাদের ফসল আনা নেয়া করতে হয়। প্রতিদিনই এখান দিয়ে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাতায়াত করে।

প্রথম স্বরসতিচর গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এই বাঁশের সাঁকোটি দু’গ্রামবাসীর একটি দুঃখ। ছোট বেলা থেকেই দেখছি এখানে বাঁশের সাঁকো। কবে এখানে ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মাণ হবে তা বলতে পারছি না। তবে প্রথম স্বরসতিরচর গ্রামের নাজির হোসেনের বাড়ি থেকে দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের করিম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ব্রীজটি নির্মাণ করা হলে উভয় গ্রামের লোকজনই উপকৃত হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নোমান জানান, জায়গাটি আমি পরিদর্শন করেছি। খালের প্রস্থ বেশি হওয়ায় এখানে ছোট ব্রীজ বা কালর্ভাট নির্মাণ করা সম্ভব নয়।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করেছেন। আমি স্থানটি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মকিমা বেগম বলেন, প্রথম স্বরসতিরচর ও দ্বিতীয় স্বরসতিরচর গ্রামের মাঝখানে খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু খালটির প্রস্থ বেশি সেহেতু এখানে এলজিইডি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। আশা করি খুব শীঘ্রই এর কার্যক্রম চালু হবে।