মো: মোশাররফ হোসেন মনির, আজিজুর রহমান রনি ও নাজিম উদ্দিনঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামে প্রতিবন্ধি কিশোরীকে (১৫) ধর্ষনের শিকার হয়ে এখন আট মাসের অন্তসত্বা। অভিযোগটি উঠেছে চাচাতো ভাই আব্দুল কাদিরের (২৪) বিরুদ্ধে। ৎগর্ভের শিশুটির পিতৃ পরিচয় নিয়ে চলছে নানান তাল বাহানা। মাণবেতর ভাবে জীবনযাপন করছে ধর্ষিতার অসহায় এই পরিবার। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষার নামে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র।
অভিযোক্ত ধর্ষক উপজেলার মো: নুরু মিয়ার ছেলে কাদির (২৪)।
প্রতিবন্ধি কিশোরীটি জানায়, আজ থেকে প্রায় আট মাস পূর্বে গত রমজানে কোন একদিন সন্ধ্যা রাতে আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাহিরে বের হলে তখন আমার চাচাতো ভাই মো: নুরু মিয়ার ছেলে কাদির আমাকে তুলে নিয়ে পার্শ¦বর্তী একটি দোকান ঘরে রেখে হাত পা বেধে ও মুখে কাপড় দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষন করে।
এ ঘটনাটি প্রকাশ করলে আমাকে প্রানে মেরে দিবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার বেশকিছু দিন পর হঠাৎ করে আমার শারীরিক পরির্বতন দেখা দিলে আমার মা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করায় সেখানে জানা যায় আমার পেটে বাচ্চা। প্রতিবন্ধি মেয়েটি আরো জানায়, পেটে বাচ্চার ও তার সাথে হওয়া অপরাধের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সে কাদিরের নাম প্রকাশ করে। এরপর থেকে কাদির ও তার পরিবার বিষয়টিকে অস্বীকার করে আসছে। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী রাতে একটি বৈঠকে প্রতিবন্ধি মেয়েটিকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গর্ভের শিশুটির পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে সিদ্ধান্ত নেয় বিচারকরা। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ধর্ষিতার পিতাহারা হতদরিদ্র পরিবারটিতে তার মা কাজ করে সংসার চালায়। কখনো অনাহারে আবার কখনো অর্ধাহারে চলে তাদের জীবনযাপন। এলাকাবাসীর দাবি এই ঘটনাটির সুষ্ঠ বিচার ও অনাগত সন্তানটির ভবিষ্যত চিন্তা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন।
ধষর্ণে অভিযুক্ত কাদিরের মা হোসেনা বেগম জানান, আমার ছেলে ঢাকায় কাজ করে। গত রমজানে ঢাকা থেকে সে ছুটিতে বাড়ীতে আসে তখন আখিকে কী করেছে লোকেরা বলছে শুনেছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি আর কিছু জানিনা।
এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পারভিন আক্তার জানান, এ বিষয়টি আমি অবহিত নই। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।