ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে প্রায় ১লক্ষ শিক্ষার্থী গাইড বই প্রকাশনির কাছে জিম্মি

মো: মোশাররফ হোসেন মনির/ আজিজুর রহমান রনিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ৪৫১টি শিক্ষা পতিষ্ঠানে এক লক্ষ শিক্ষার্থী গাইড বই প্রকাশনির কাচ্ছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বছরের শুরুতে এসব বই কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এমনকি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকাশনার গাইড ও ব্যাকরণ বই বুক লিস্ট প্রধানের মাধ্যমে কেনার জন্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর বাধ্য করাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই বিক্রি বন্ধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকা ও গত ৯ জানুয়ারী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানী প্রশাসনের বিরোদ্ধে। মোইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দুই মাস পেরিয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের তৈরী হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য যুক্ত করেছে সৃজনশীল পদ্ধতি। একই সঙ্গে সরকার ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট ও গাইড বই বিপণন, প্রদর্শন, প্রস্তুতকরণ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ উপজেলার এক শ্রেণির লাইব্রেরি মালিকরা ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বইয়ের মজুদ গড়ে তুলেছেন। প্রকাশ্যেই বিক্রি করছেন চড়াদামে।

এছাড়া লাইব্রেরি মালিক ও প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা উপজেলার ২০৩টি প্রাথমিক, ১৫৭টি কিন্টারর্গাডেন, ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৭টি মাদ্রাসার অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা মোটা অংকের টাকার কমিশন ও ডোনেশন বিনিময়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চড়াদমে পপি, জুপিটার, গ্যালাক্সি, একের ভিতর তিন ও দিগন্ত, আল-ফাতাহ্ নামের গাইড ও ব্যাকরণ বইয়ের বুক লিস্টের মাধ্যমে ক্রয়ের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়, মোচাগাড়া উচ্চ বিদ্যালয, যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীকাইল কেকে উচ্চ বিদ্যালয়, বাশঁকাইট পিজি উচ্চ বিদ্যালয়, নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষ্ণপুর জিডিবি উচ্চ বিদ্যালয়, পায়ব হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়, জাহাপুর কমলাকান্ত একাডেমি, বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়, ধনিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কোরপানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়, বিষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীরা পপি গাইট বইয়ের কাছে জিম্মির চিত্র। অষ্টম শ্রেণির একটি গাইড বই বিক্রি হচ্ছে ৮১০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায়। চতুর্থ শ্রেণির একটি গাইড বইয়ের মূল্য কমপক্ষে ৪৫০ টাকা।

এক স্কুল ছাত্রের অভিভাবক মো: মহিউদ্দিন বলেন, সরকার বিনামূল্যে বই দিলেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার ছেলের জন্য স্কুলল শিক্ষকদের চাপে ৬১০ টাকায় একটি গাইড বই কিনেছি। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের চাহিদা অনুযায়ী অন্য প্রকাশনীর আরো একটি গাইড বই কিনতে হবে।

উপজেলার প্রানী সম্পদ হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা অভিভাবক ফাতেমা আক্তার জানান, মিতালী, ইসলামিয়া, মনি লাইব্রেরি, ফরিদ বুক ডিপো, সোহাগ ও সবুজ লাইব্রেরির মালিকরা কোচিং সেন্টার ও স্কুলের শিক্ষকদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকাশনীর বুক লিস্ট ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা লিস্টে উল্লেখিত প্রকাশনীর নোট, গাইড ও ব্যাকরণ বই নিদিষ্ট লাইব্রেরি থেকে চড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

এ বিষয়ে পায়ব হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন গাইড বই মালিকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষক পিকনিকে যাওয়ার জন্য ৪০হাজার টাকা দিয়েছে একটি গাইড বই মালিক পক্ষ। তবে আমরা ছাত্রদেরকে ওই বই কিনতে চাপদেই না।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুবুর আলম জানান, শিক্ষরা গাইড বই মালিকদের সাথে কোন প্রকার চুক্তি না করার জন্য তাদের কে কড়া ভাবে নিষেধ করেছি। তার পরও কিছু শিক্ষক নিষেধ অপেক্ষা করেছে। আমি বিষয়টি দেখব।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার বলেন, শিক্ষক সংগঠন আমাদেরকে তোয়াক্ক করে না। তারা তাদের মতো চলে। গাইড বই মালিক থেকে শিক্ষকরা যে উপঢৌকন নেয় তা আমার কানে এসেছে। আমি তা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং’এ উপস্থাপন করেছি। এখন বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দেখবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা মিটিং’এ বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো বক্তব্য আসলে, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালচার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিষয়টি নিভ্রিত করার চেষ্টা করেছেন।

কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বলেন, নোট-গাইডের সঙ্গে শিক্ষকেরা জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর বাজারে নোট-গাইডের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের বই সরবরাহ করা হচ্ছে। আলাদাভাবে কোনো বই কেনার প্রয়োজন নেই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

মুরাদনগরে প্রায় ১লক্ষ শিক্ষার্থী গাইড বই প্রকাশনির কাছে জিম্মি

আপডেট সময় ০৩:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনির/ আজিজুর রহমান রনিঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার প্রায় ৪৫১টি শিক্ষা পতিষ্ঠানে এক লক্ষ শিক্ষার্থী গাইড বই প্রকাশনির কাচ্ছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। বছরের শুরুতে এসব বই কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এমনকি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকাশনার গাইড ও ব্যাকরণ বই বুক লিস্ট প্রধানের মাধ্যমে কেনার জন্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীর বাধ্য করাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই বিক্রি বন্ধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা থাকা ও গত ৯ জানুয়ারী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানী প্রশাসনের বিরোদ্ধে। মোইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দুই মাস পেরিয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের তৈরী হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকার শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য যুক্ত করেছে সৃজনশীল পদ্ধতি। একই সঙ্গে সরকার ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট ও গাইড বই বিপণন, প্রদর্শন, প্রস্তুতকরণ, মুদ্রণ ও প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ উপজেলার এক শ্রেণির লাইব্রেরি মালিকরা ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বইয়ের মজুদ গড়ে তুলেছেন। প্রকাশ্যেই বিক্রি করছেন চড়াদামে।

এছাড়া লাইব্রেরি মালিক ও প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা উপজেলার ২০৩টি প্রাথমিক, ১৫৭টি কিন্টারর্গাডেন, ৫৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৭টি মাদ্রাসার অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা মোটা অংকের টাকার কমিশন ও ডোনেশন বিনিময়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চড়াদমে পপি, জুপিটার, গ্যালাক্সি, একের ভিতর তিন ও দিগন্ত, আল-ফাতাহ্ নামের গাইড ও ব্যাকরণ বইয়ের বুক লিস্টের মাধ্যমে ক্রয়ের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়, মোচাগাড়া উচ্চ বিদ্যালয, যাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রীকাইল কেকে উচ্চ বিদ্যালয়, বাশঁকাইট পিজি উচ্চ বিদ্যালয়, নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষ্ণপুর জিডিবি উচ্চ বিদ্যালয়, পায়ব হাজী আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়, জাহাপুর কমলাকান্ত একাডেমি, বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়, ধনিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কোরপানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়, বিষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীরা পপি গাইট বইয়ের কাছে জিম্মির চিত্র। অষ্টম শ্রেণির একটি গাইড বই বিক্রি হচ্ছে ৮১০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকায়। চতুর্থ শ্রেণির একটি গাইড বইয়ের মূল্য কমপক্ষে ৪৫০ টাকা।

এক স্কুল ছাত্রের অভিভাবক মো: মহিউদ্দিন বলেন, সরকার বিনামূল্যে বই দিলেও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া আমার ছেলের জন্য স্কুলল শিক্ষকদের চাপে ৬১০ টাকায় একটি গাইড বই কিনেছি। কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের চাহিদা অনুযায়ী অন্য প্রকাশনীর আরো একটি গাইড বই কিনতে হবে।

উপজেলার প্রানী সম্পদ হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা অভিভাবক ফাতেমা আক্তার জানান, মিতালী, ইসলামিয়া, মনি লাইব্রেরি, ফরিদ বুক ডিপো, সোহাগ ও সবুজ লাইব্রেরির মালিকরা কোচিং সেন্টার ও স্কুলের শিক্ষকদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকাশনীর বুক লিস্ট ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা লিস্টে উল্লেখিত প্রকাশনীর নোট, গাইড ও ব্যাকরণ বই নিদিষ্ট লাইব্রেরি থেকে চড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

এ বিষয়ে পায়ব হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন গাইড বই মালিকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের স্কুলের সকল শিক্ষক পিকনিকে যাওয়ার জন্য ৪০হাজার টাকা দিয়েছে একটি গাইড বই মালিক পক্ষ। তবে আমরা ছাত্রদেরকে ওই বই কিনতে চাপদেই না।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুবুর আলম জানান, শিক্ষরা গাইড বই মালিকদের সাথে কোন প্রকার চুক্তি না করার জন্য তাদের কে কড়া ভাবে নিষেধ করেছি। তার পরও কিছু শিক্ষক নিষেধ অপেক্ষা করেছে। আমি বিষয়টি দেখব।

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার বলেন, শিক্ষক সংগঠন আমাদেরকে তোয়াক্ক করে না। তারা তাদের মতো চলে। গাইড বই মালিক থেকে শিক্ষকরা যে উপঢৌকন নেয় তা আমার কানে এসেছে। আমি তা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিং’এ উপস্থাপন করেছি। এখন বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দেখবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা মিটিং’এ বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো বক্তব্য আসলে, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালচার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিষয়টি নিভ্রিত করার চেষ্টা করেছেন।

কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বলেন, নোট-গাইডের সঙ্গে শিক্ষকেরা জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর বাজারে নোট-গাইডের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে বিনা মূল্যে শিক্ষার্থীদের বই সরবরাহ করা হচ্ছে। আলাদাভাবে কোনো বই কেনার প্রয়োজন নেই।