ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর বৈঠক

জাতীয় ডেস্খঃ
সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থান সমর্থন করে কংগ্রেস নেত্রী সেনিয়া গান্ধী বলেছেন, শক্ত হাতেই সন্ত্রাস দমন করা দরকার।
সোনিয়া গান্ধী রবিবার বিকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে সোনীয় গান্ধীর আধ ঘণ্টার এই বৈঠকে কংগ্রেসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
বর্তমানে ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেস এবং শাসক দল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তারা একমত বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন সোনিয়া গান্ধী।
ইহসানুল করিম বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমা চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে তারা একমত।”
স্থলসীমা চুক্তির প্রশংসা করে সোনিয়া গান্ধী বলেন, কংগ্রেস সরকারের সময়েই এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেন কংগ্রেস নেত্রী।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়েও এসময় আলোচনা হয়।
সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, শক্ত হাতেই সন্ত্রাস দমন করা দরকার।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনিয়া গান্ধীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীসহ তিনটি বই উপহার দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতি চারন করেন। তিনি বলেন, তার কারণে স্বাধীনতার পথ দ্রুত তৈরি হয়।
বাংলাদেশের অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধির হার রাহুল গান্ধী জানতে চাইলে শেখ হাসিনা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আপনি নিজে এসে দেখে যান। বৈঠকে মনমোহন বলেন, যেভাবে বাংলাদেশ এগুচ্ছে তাতে ২০২৫ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে।
এই বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ত্রলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

শেখ হাসিনার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর বৈঠক

আপডেট সময় ০৪:৩৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৭
জাতীয় ডেস্খঃ
সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থান সমর্থন করে কংগ্রেস নেত্রী সেনিয়া গান্ধী বলেছেন, শক্ত হাতেই সন্ত্রাস দমন করা দরকার।
সোনিয়া গান্ধী রবিবার বিকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে সোনীয় গান্ধীর আধ ঘণ্টার এই বৈঠকে কংগ্রেসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
বর্তমানে ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেস এবং শাসক দল বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তারা একমত বলে বৈঠকে উল্লেখ করেন সোনিয়া গান্ধী।
ইহসানুল করিম বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমা চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, রাজনৈতিক মতভেদ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে তারা একমত।”
স্থলসীমা চুক্তির প্রশংসা করে সোনিয়া গান্ধী বলেন, কংগ্রেস সরকারের সময়েই এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসাও করেন কংগ্রেস নেত্রী।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়েও এসময় আলোচনা হয়।
সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, শক্ত হাতেই সন্ত্রাস দমন করা দরকার।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনিয়া গান্ধীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীসহ তিনটি বই উপহার দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতি চারন করেন। তিনি বলেন, তার কারণে স্বাধীনতার পথ দ্রুত তৈরি হয়।
বাংলাদেশের অগ্রগতি ও প্রবৃদ্ধির হার রাহুল গান্ধী জানতে চাইলে শেখ হাসিনা তাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে আপনি নিজে এসে দেখে যান। বৈঠকে মনমোহন বলেন, যেভাবে বাংলাদেশ এগুচ্ছে তাতে ২০২৫ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হবে।
এই বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মূখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ত্রলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।