ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘‘এতো হোন্ডা গেল কই? অতপরঃ… পায়ে হেটে নেতার গনসংযোগ’’

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ঢাকা থেকে হাতেগুনা কয়েকটি মোটরবাইক ছিলো বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি,শিল্পপতি ও সফটটেক্স গ্রুপের পরিচালক,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমেরিকা প্রবাসী গোলাম মোস্তফা কামালের গাড়ি বহরে।

এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬ আসন(বাঞ্ছারামপুর) থেকে আওয়ামীলীগ হতে প্রার্থী হতে নৌকা প্রতিকের টিকেট চাইবেন।সেই অনুযায়ী প্রথম শো-ডাউন দিবেন,আর তাতে মোটর সাইকেলের বহর থাকবে না,তা-কি হয়?

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,এই আওয়ামী নেতা ঢাকা থেকে তার অনুসারীসহ মোটরসাইকেল আছে,চালায় এমন শতাধিক মোটর সাইকেল চালককে তার আজকের শো-ডাউনে যুক্ত হতে কন্ট্রাক্ট করা ছিলো আগে-ভাগেই।লাখ টাকার মামলা।

কিন্তু,বিধি বাম!বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম গত একমাস যাবত সপ্তাহে নিয়ম করে (যে কোন ৩ দিন) বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।আজও চালান।ইউএনও মো.শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান-‘মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী আমার ভ্রাম্যমান আদালতে ফিটনেস,লাইসেন্স, রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অবিরাম অভিযানে গত একমাসে অসংখ্য মামলা ও জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়েছে।এটি চলমান থাকবে’।

সে (ভ্রাম্যমান আদালত) কারনে বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ সব মোটরসাইকেল সব উধাও। খোজ নিয়ে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৫ সহ¯্রাধিক মোটরসাইকেল থাকলেও রেজিষ্ট্রেশন,লাইসেন্স,ফিটনেসযুক্ত মোটর সাইকেলের সংখ্যা ৫ শতাধিক হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাঞ্ছারামপুরের বড়সড়ো গ্রামে সড়ক পথে শো-ডাউনের জন্য উল্লেখিত নৌকা প্রতিকের টিকেট প্রার্থী মোস্তফা কামাল তার গাড়ি বহরে মাত্র ৭ হতে ১০টি মোটর সাইকেল যুক্ত হলে ক্ষোভ নিয়ে তার নেতা-কর্মীদের বলেন,-‘এক শো মোটর সাইকেলের তেলের জন্য টাকা দিলাম।এলোমাত্র গুটি কয়েক।এতো হুন্ডা গেলো কই!’’।তার কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে,হোন্ডা বহর না পেয়ে শেষমেষ তিনি পায়ে হেটে এবং ইজিবাইক(অটোবাইক)এ করে ২/৩টি গ্রাম ঘুরে গনসংযোগ করেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

‘‘এতো হোন্ডা গেল কই? অতপরঃ… পায়ে হেটে নেতার গনসংযোগ’’

আপডেট সময় ০৭:৫৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মার্চ ২০১৮
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ

ঢাকা থেকে হাতেগুনা কয়েকটি মোটরবাইক ছিলো বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি,শিল্পপতি ও সফটটেক্স গ্রুপের পরিচালক,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমেরিকা প্রবাসী গোলাম মোস্তফা কামালের গাড়ি বহরে।

এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬ আসন(বাঞ্ছারামপুর) থেকে আওয়ামীলীগ হতে প্রার্থী হতে নৌকা প্রতিকের টিকেট চাইবেন।সেই অনুযায়ী প্রথম শো-ডাউন দিবেন,আর তাতে মোটর সাইকেলের বহর থাকবে না,তা-কি হয়?

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,এই আওয়ামী নেতা ঢাকা থেকে তার অনুসারীসহ মোটরসাইকেল আছে,চালায় এমন শতাধিক মোটর সাইকেল চালককে তার আজকের শো-ডাউনে যুক্ত হতে কন্ট্রাক্ট করা ছিলো আগে-ভাগেই।লাখ টাকার মামলা।

কিন্তু,বিধি বাম!বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম গত একমাস যাবত সপ্তাহে নিয়ম করে (যে কোন ৩ দিন) বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।আজও চালান।ইউএনও মো.শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান-‘মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী আমার ভ্রাম্যমান আদালতে ফিটনেস,লাইসেন্স, রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অবিরাম অভিযানে গত একমাসে অসংখ্য মামলা ও জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়েছে।এটি চলমান থাকবে’।

সে (ভ্রাম্যমান আদালত) কারনে বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ সব মোটরসাইকেল সব উধাও। খোজ নিয়ে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৫ সহ¯্রাধিক মোটরসাইকেল থাকলেও রেজিষ্ট্রেশন,লাইসেন্স,ফিটনেসযুক্ত মোটর সাইকেলের সংখ্যা ৫ শতাধিক হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সকালে বাঞ্ছারামপুরের বড়সড়ো গ্রামে সড়ক পথে শো-ডাউনের জন্য উল্লেখিত নৌকা প্রতিকের টিকেট প্রার্থী মোস্তফা কামাল তার গাড়ি বহরে মাত্র ৭ হতে ১০টি মোটর সাইকেল যুক্ত হলে ক্ষোভ নিয়ে তার নেতা-কর্মীদের বলেন,-‘এক শো মোটর সাইকেলের তেলের জন্য টাকা দিলাম।এলোমাত্র গুটি কয়েক।এতো হুন্ডা গেলো কই!’’।তার কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে,হোন্ডা বহর না পেয়ে শেষমেষ তিনি পায়ে হেটে এবং ইজিবাইক(অটোবাইক)এ করে ২/৩টি গ্রাম ঘুরে গনসংযোগ করেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।