ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইনিংস পরাজয় এড়াতে ব্যর্থ টাইগাররা

খেলাধূলা ডেস্ক:

তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে গেল ইন্দোর টেস্ট। ভারতের বিপক্ষে ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন একমাত্র মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে টাইগারদের ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারেননি তিনিও।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানেই নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ফলে ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে দিনের খেলা শুরু করেন ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। কিন্তু খুব বেশিদূর দলকে টেনে নিতে ব্যর্থ হন তারা। উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মার করা পরপর দুই ওভারেই দৃষ্টিকটুভাবে বোল্ড হয়ে ফেরেন কায়েস ও সাদমান।

ওয়ানডাউনে নেমে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি আগের ইনিংসে আশা জাগানো বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মমিনুল হক। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ শামি। প্রথমে শামির আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউয়ে নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। ভঙ্গুর পরিস্থিতি সামলানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এরপর ক্রিজে নামেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু শামিকে স্কয়ার লেগে খেলতে গিয়ে আগারওয়ালকে ক্যাচ দিয়ে সে চ্যালেঞ্জে হেরে যান মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান। এতেই ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা জেগে ওঠে টাইগারদের। মাঝে লড়াইয়ের কিছুটা চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে শামির অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার ভীড়ে একপ্রান্ত আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুধু মুসফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ ফিরে যাওয়ার পর তাকে সঙ্গ দিতে আসেন লিটন দাস। মোটামুটি ভালো একটা জুটি গড়ার দিকেই এগোচ্ছিলেন দুজনে। কিন্তু মুশির সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে লিটনও আউট হয়ে ফিরে গেলে চা বিরতির আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের থেকে এদিন মুশফিকের পাশাপাশি সামান্য ব্যতিক্রম ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটন চলে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে লড়তে থাকেন মুশফিক। তাদের দৃঢ়তায় আর কোন উইকেট না হারিয়ে চা বিরতি পার করে বাংলাদেশ। চা বিরতির আগেই নিজের ২০ তম ফিফটি তুলে নেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

চা বিরতির পরই ফের বিপর্যয়। উমেশ যাদবের বলে দূর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে ফেরেন মিরাজ। ফেরার আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন লোয়ার মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান। ভেঙে যায় ৫৯ রানের একটি সম্ভাবনাময় জুটি।

কিছুক্ষণ পর এবাদত হোসেনকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আশ্বিন। ২১৩ রানে অলআউট হয় মুমিনুল বাহিনী। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। আশ্বিন ৩ ও উমেশ যাদব ২ উইকেট নেন।

এর আগে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। পরে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের মহাকাব্যিক ডাবল সেঞ্চুরি ও অজিঙ্কা রাহানের ৮৬ রানের বদৌলতে ৪৯৩ রান করে ৩৪৩ রানের পাহাড়সম লিড নেয় ভারত। অবশেষে ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক বাজে ব্যাটিংয়ে সে পাহাড় ডিঙাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয় টাইগার বাহিনী।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ

ইনিংস পরাজয় এড়াতে ব্যর্থ টাইগাররা

আপডেট সময় ০৪:৩২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

খেলাধূলা ডেস্ক:

তৃতীয় দিনেই শেষ হয়ে গেল ইন্দোর টেস্ট। ভারতের বিপক্ষে ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন একমাত্র মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে টাইগারদের ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচাতে পারেননি তিনিও।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের ৬ উইকেটে ৪৯৩ রানেই নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ফলে ৩৪৩ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে দিনের খেলা শুরু করেন ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। কিন্তু খুব বেশিদূর দলকে টেনে নিতে ব্যর্থ হন তারা। উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মার করা পরপর দুই ওভারেই দৃষ্টিকটুভাবে বোল্ড হয়ে ফেরেন কায়েস ও সাদমান।

ওয়ানডাউনে নেমে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি আগের ইনিংসে আশা জাগানো বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মমিনুল হক। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ শামি। প্রথমে শামির আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউয়ে নিজের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। ভঙ্গুর পরিস্থিতি সামলানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে এরপর ক্রিজে নামেন মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু শামিকে স্কয়ার লেগে খেলতে গিয়ে আগারওয়ালকে ক্যাচ দিয়ে সে চ্যালেঞ্জে হেরে যান মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান। এতেই ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা জেগে ওঠে টাইগারদের। মাঝে লড়াইয়ের কিছুটা চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে শামির অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার ভীড়ে একপ্রান্ত আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুধু মুসফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ ফিরে যাওয়ার পর তাকে সঙ্গ দিতে আসেন লিটন দাস। মোটামুটি ভালো একটা জুটি গড়ার দিকেই এগোচ্ছিলেন দুজনে। কিন্তু মুশির সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়ে লিটনও আউট হয়ে ফিরে গেলে চা বিরতির আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের থেকে এদিন মুশফিকের পাশাপাশি সামান্য ব্যতিক্রম ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটন চলে যাওয়ার পর তাকে নিয়ে লড়তে থাকেন মুশফিক। তাদের দৃঢ়তায় আর কোন উইকেট না হারিয়ে চা বিরতি পার করে বাংলাদেশ। চা বিরতির আগেই নিজের ২০ তম ফিফটি তুলে নেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

চা বিরতির পরই ফের বিপর্যয়। উমেশ যাদবের বলে দূর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হয়ে ফেরেন মিরাজ। ফেরার আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন লোয়ার মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান। ভেঙে যায় ৫৯ রানের একটি সম্ভাবনাময় জুটি।

কিছুক্ষণ পর এবাদত হোসেনকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আশ্বিন। ২১৩ রানে অলআউট হয় মুমিনুল বাহিনী। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। আশ্বিন ৩ ও উমেশ যাদব ২ উইকেট নেন।

এর আগে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। পরে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের মহাকাব্যিক ডাবল সেঞ্চুরি ও অজিঙ্কা রাহানের ৮৬ রানের বদৌলতে ৪৯৩ রান করে ৩৪৩ রানের পাহাড়সম লিড নেয় ভারত। অবশেষে ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক বাজে ব্যাটিংয়ে সে পাহাড় ডিঙাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয় টাইগার বাহিনী।