ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইফতার-সেহেরিতে চিনিযুক্ত শরবত পরিহার করা উচিত

 স্বাস্থ্য ডেস্কঃ
মহান রাব্বুল আল আমিনের সান্নিধ্যে আসার অপার মহিমান্বিত ইবাদত হচ্ছে পবিত্র রোজা পালন। আর এই রোজা পালনের জন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট নির্বাচন, শারীরিক সুস্থতা, মানসিক শক্তি এবং অদম্য ইচ্ছা ও আনুগত্য। আর চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে কিছু নিয়ম-নীতি ও পরামর্শ অনুসরণ করলে কষ্ট ছাড়াই রোজা পালন করা যায়। রোজাদারদের যেসব সমস্যা হয় তার কিছু তুলে ধরা হলো।
রোজাদারদের দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং পানিশূন্যতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। তাই ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করবেন। অনেকে পানির পরিবর্তে লেমন অথবা রোজ ওয়াটার, ফ্রুট ওয়াটার, নানা ধরনের শরবত, ভিটামিন ওয়াটারসহ নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন।
এ ব্যাপারে বৈরুতের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রিশনিস্ট ফারা নাজারের অভিমত: রোজাদারদের শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি পান করাই ভালো। এই পুষ্টিবিদের মতে- কার্বোনেটেড ও সুগারি ড্রিংক থেকে চা ও কফির মতো শরীর থেকে অধিক পানি বের হয়ে যায়। তাই কার্বোনেটেড ও বেভারেজ ও সুগারি ড্রিংক বা নানা ধরনের শরবত পরিহার করা উচিত। এছাড়া কফি ও চায়ের ডাই-ইউরেটিক ইফেক্টের কারণে ইফতার ও সেহেরিতে চা-কফি পরিহার করা ভালো। অনেকে মনে করেন কফি পানে দ্রুত এনার্জি পাওয়া যায়। তবে ক্যাফেইনের প্রভাব দ্রুত কেটে যায় এবং তখন শরীর অত্যন্ত দুর্বল লাগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে- রোজাদারদের প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল আহার করা উচিত। এতে শরীরে যেমন পানিশূন্যতা রোধ হবে তেমনি হজমেও সহায়ক হবে। তাই সুস্থভাবে রোজা পালনে প্রচুর পানি পান ও যথাযথ খাদ্য নির্বাচন করুন।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

ইফতার-সেহেরিতে চিনিযুক্ত শরবত পরিহার করা উচিত

আপডেট সময় ০৯:৩০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮
 স্বাস্থ্য ডেস্কঃ
মহান রাব্বুল আল আমিনের সান্নিধ্যে আসার অপার মহিমান্বিত ইবাদত হচ্ছে পবিত্র রোজা পালন। আর এই রোজা পালনের জন্য প্রয়োজন সঠিক ডায়েট নির্বাচন, শারীরিক সুস্থতা, মানসিক শক্তি এবং অদম্য ইচ্ছা ও আনুগত্য। আর চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে কিছু নিয়ম-নীতি ও পরামর্শ অনুসরণ করলে কষ্ট ছাড়াই রোজা পালন করা যায়। রোজাদারদের যেসব সমস্যা হয় তার কিছু তুলে ধরা হলো।
রোজাদারদের দীর্ঘ সময় অভুক্ত থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং পানিশূন্যতার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। তাই ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি পান করবেন। অনেকে পানির পরিবর্তে লেমন অথবা রোজ ওয়াটার, ফ্রুট ওয়াটার, নানা ধরনের শরবত, ভিটামিন ওয়াটারসহ নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত পানীয় পান করেন।
এ ব্যাপারে বৈরুতের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রিশনিস্ট ফারা নাজারের অভিমত: রোজাদারদের শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানি পান করাই ভালো। এই পুষ্টিবিদের মতে- কার্বোনেটেড ও সুগারি ড্রিংক থেকে চা ও কফির মতো শরীর থেকে অধিক পানি বের হয়ে যায়। তাই কার্বোনেটেড ও বেভারেজ ও সুগারি ড্রিংক বা নানা ধরনের শরবত পরিহার করা উচিত। এছাড়া কফি ও চায়ের ডাই-ইউরেটিক ইফেক্টের কারণে ইফতার ও সেহেরিতে চা-কফি পরিহার করা ভালো। অনেকে মনে করেন কফি পানে দ্রুত এনার্জি পাওয়া যায়। তবে ক্যাফেইনের প্রভাব দ্রুত কেটে যায় এবং তখন শরীর অত্যন্ত দুর্বল লাগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে- রোজাদারদের প্রচুর পরিমাণ সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল আহার করা উচিত। এতে শরীরে যেমন পানিশূন্যতা রোধ হবে তেমনি হজমেও সহায়ক হবে। তাই সুস্থভাবে রোজা পালনে প্রচুর পানি পান ও যথাযথ খাদ্য নির্বাচন করুন।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ