খেলাধুলা ডেস্কঃ
শ্রীলঙ্কার দেয়া ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ক্যারিবীয়রাও গিয়েছে অনেকদূর। তবে শেষ দিকে রানের গতি ঠিক রাখতে না পারায় ২৩ রানে হারতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। পুরো ম্যাচকে প্রতিযোগিতায় এনেছিলেন সেঞ্চুরিয়ান নিকোলাস পুরান। তবে তার এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত হারের ব্যবধানই কেবল কমাতে সাহায্য করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করে থেমেছে।
এই জয়ে আট ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশকে সরিয়ে দখল করে নিয়েছে ষষ্ঠ স্থান। এক ম্যাচ কম খেলে সাত পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে সাতে। অপরদিকে আট ম্যাচ থেকে মাত্র তিন পয়েন্ট নিয়ে নয়েই থাকল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১২ রানে ওপেনার সুনীল আমব্রিস সাজঘরে ফেরার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। ৮৪ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুকতে থাকে তারা। শুরুতে আউট হওয়া চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন শিমরন হেটমায়ার (২৯) ও ক্রিস গেইল (৩৫)।
সেখান থেকে নিকোলাস পুরান দারুণভাবে খেলছেন। তবে শেষ সাফল্য পাননি। ১০৩ বল থেকে ১১টি চার ও চারটি ছক্কার মারে ১১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে এই লড়াইটা শুধু হারের ব্যবধান কমাতেই ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া ফ্যাবিয়ান অ্যালেন করেছেন ৫১ রান। লাসিথ মালিঙ্গা তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে সোমবার চেস্টার লি স্ট্রিটে টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ব্যাট হাতে নেমে দিমুথ করুনারত্নে ও কুশাল পেরেরা ওপেনিং জুটিতেই ৯৩ রান করেন। এরপর কিছুটা ধীরগতিতে খেলা করুনারত্নে বিদায় নেন। জেসন হোল্ডারের বলে শাই হোপের হাতে ধরা পড়ার আগে ৪৮ বল থেকে তিনি করেছেন ৩২ রান।
আরেক ওপেনার কুশাল পেরেরা ফিরেন রান আউট হয়ে। ৫১ বল থেকে ৬৪ রান করেন তিনি। এরপর দলীয় ১৮৯ রানে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেন কুশাল মেন্ডিস। তিনি করেন ৩৯ রান। দলীয় ২৪৭ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আউট হন ২৬ রান করে।
এরপর ফার্নান্দো ও লাহিরু থিরিমান্নে জুটি পঞ্চম উইকেটে তিন শ’পার করেন। দলীয় ৩১৪ রানে ফার্নান্দো আউট হন। ১০৩ বল থেকে ৯টি চার ও দুটি ছক্কার মারে ১০৪ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া থিরিমান্নে ৩৩ বল থেকে ৪৫ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। সেই সুবাদে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ৩৩৮ রানের বড় স্কোর গড়তে সক্ষম হয়।