ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ
ঢাকা থেকে হাতেগুনা কয়েকটি মোটরবাইক ছিলো বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি,শিল্পপতি ও সফটটেক্স গ্রুপের পরিচালক,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমেরিকা প্রবাসী গোলাম মোস্তফা কামালের গাড়ি বহরে।
এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬ আসন(বাঞ্ছারামপুর) থেকে আওয়ামীলীগ হতে প্রার্থী হতে নৌকা প্রতিকের টিকেট চাইবেন।সেই অনুযায়ী প্রথম শো-ডাউন দিবেন,আর তাতে মোটর সাইকেলের বহর থাকবে না,তা-কি হয়?
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,এই আওয়ামী নেতা ঢাকা থেকে তার অনুসারীসহ মোটরসাইকেল আছে,চালায় এমন শতাধিক মোটর সাইকেল চালককে তার আজকের শো-ডাউনে যুক্ত হতে কন্ট্রাক্ট করা ছিলো আগে-ভাগেই।লাখ টাকার মামলা।
কিন্তু,বিধি বাম!বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম গত একমাস যাবত সপ্তাহে নিয়ম করে (যে কোন ৩ দিন) বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।আজও চালান।ইউএনও মো.শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান-‘মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী আমার ভ্রাম্যমান আদালতে ফিটনেস,লাইসেন্স, রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অবিরাম অভিযানে গত একমাসে অসংখ্য মামলা ও জরিমানার অর্থ আদায় করা হয়েছে।এটি চলমান থাকবে’।
সে (ভ্রাম্যমান আদালত) কারনে বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ সব মোটরসাইকেল সব উধাও। খোজ নিয়ে বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৫ সহ¯্রাধিক মোটরসাইকেল থাকলেও রেজিষ্ট্রেশন,লাইসেন্স,ফিটনেসযুক্ত মোটর সাইকেলের সংখ্যা ৫ শতাধিক হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঞ্ছারামপুরের বড়সড়ো গ্রামে সড়ক পথে শো-ডাউনের জন্য উল্লেখিত নৌকা প্রতিকের টিকেট প্রার্থী মোস্তফা কামাল তার গাড়ি বহরে মাত্র ৭ হতে ১০টি মোটর সাইকেল যুক্ত হলে ক্ষোভ নিয়ে তার নেতা-কর্মীদের বলেন,-‘এক শো মোটর সাইকেলের তেলের জন্য টাকা দিলাম।এলোমাত্র গুটি কয়েক।এতো হুন্ডা গেলো কই!’’।তার কর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে,হোন্ডা বহর না পেয়ে শেষমেষ তিনি পায়ে হেটে এবং ইজিবাইক(অটোবাইক)এ করে ২/৩টি গ্রাম ঘুরে গনসংযোগ করেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।