ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসএসসিতে ছেলের চেয়ে ভাল ফলাফল মায়ের

জাতীয় ডেস্কঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় এক সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মা-ছেলে দুজনই পাস করেছেন। তবে ছেলে মৃন্ময় কুমার কুন্ডুর  চেয়ে ভাল রেজাল্ট করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মা মলি রানী।
বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, উপজেলার গালিমপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবব্রত কুমার মিন্টুর স্ত্রী মলি রানী জিপিএ-৪.৫৩ পেয়ে পাস করেছেন। তারই ছেলে মৃন্ময় কুমার কুন্ডু পেয়েছে জিপিএ-৪ দশমিক ৪৩।  দুজনেই কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন।
মলি বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ট্রেডের এবং মৃন্ময় বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিল্ডিং মেইনটেনেন্স ট্রেডের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বয়সের বাধাকে উপেক্ষা করে ৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মলি রাণী কুন্ডু। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া থাকাকালে তার বিয়ে হয়। এরপর আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। এরই মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম দেন। বড় ছেলে মৃন্বয় কুমার কুন্ডু এবং ছোট ছেলে পাপন কুন্ডু। ছেলেদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার নিজের পড়ালেখা জানা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই স্কুলে ভর্তি হন। চলতি বছর মা ও ছেলে বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
ছেলের চেয়ে ভাল ফলাফল করায় মলি রাণী বলেন, ভবিষ্যতেও তিনি পড়ালেখা অব্যাহত রাখবেন।
ইত্তেফাক
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এসএসসিতে ছেলের চেয়ে ভাল ফলাফল মায়ের

আপডেট সময় ০৩:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় এক সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মা-ছেলে দুজনই পাস করেছেন। তবে ছেলে মৃন্ময় কুমার কুন্ডুর  চেয়ে ভাল রেজাল্ট করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মা মলি রানী।
বৃহস্পতিবার এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, উপজেলার গালিমপুরের মিষ্টি ব্যবসায়ী দেবব্রত কুমার মিন্টুর স্ত্রী মলি রানী জিপিএ-৪.৫৩ পেয়ে পাস করেছেন। তারই ছেলে মৃন্ময় কুমার কুন্ডু পেয়েছে জিপিএ-৪ দশমিক ৪৩।  দুজনেই কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেন।
মলি বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং ট্রেডের এবং মৃন্ময় বাগাতিপাড়া মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বিল্ডিং মেইনটেনেন্স ট্রেডের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বয়সের বাধাকে উপেক্ষা করে ৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মলি রাণী কুন্ডু। নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া থাকাকালে তার বিয়ে হয়। এরপর আর পড়ালেখা করার সুযোগ হয়নি। এরই মধ্যে দুটি সন্তানের জন্ম দেন। বড় ছেলে মৃন্বয় কুমার কুন্ডু এবং ছোট ছেলে পাপন কুন্ডু। ছেলেদের পড়ালেখা করাতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার নিজের পড়ালেখা জানা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই স্কুলে ভর্তি হন। চলতি বছর মা ও ছেলে বাগাতিপাড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
ছেলের চেয়ে ভাল ফলাফল করায় মলি রাণী বলেন, ভবিষ্যতেও তিনি পড়ালেখা অব্যাহত রাখবেন।
ইত্তেফাক