ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাল ভোট, নিরাপত্তার চাদরে কুমিল্লা

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
রাত পোহালেই শুরু হবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আজ বুধবার নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৩টি ভোট কেন্দ্রের ৬২৮টি বুথের জন্য ভোটের বাক্স পৌঁছানোর সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। এছাড়া এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, নির্বিঘ্ন ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন পুরো নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে। নিযুক্ত করা হয়েছে পুলিশ-র্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ সহস্রাধিক সদস্য।
এদিকে প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার প্রার্থীদের পক্ষে নগরীর কেন্দ্রস্থল কান্দিরপাড়সহ আনাচে-কানাচে ব্যাপক গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণসহ স্লোগানে আর মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে বিভিন্ন এলাকা। তবে কমিশনের নির্দেশনার পর কেন্দ্রীয় নেতা/বহিরাগতরা কুসিক এলাকা ছেড়ে যাওয়ায় গতকাল মেয়র পদে দুই দলের প্রার্থী ও তাদের নেতা-কর্মীরা দিনভর গণসংযোগ করেন।
অদৃশ্য শঙ্কায় সীমা ও সাক্কু: নির্বাচনটা নৌকা বনাম ধানের শীষ প্রতীকের হলেও  প্রতীকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রার্থীর নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আর পরিচিতিও, দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজনও প্রভাবিত করতে চলেছে নির্বাচনকে। তাই অদৃশ্য শঙ্কায় রয়েছেন উভয় দলের প্রার্থী। আগামীকাল অনুষ্ঠেয় কুসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করছেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি কুসিকের প্রথম মেয়র। ২০১২ সালে এ সিটির প্রথম   নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির কারণে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। তাই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী সীমার বাবা আফজল খানের সঙ্গে লড়ে জিতেছিলেন। এবার তার সঙ্গে দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তারও রয়েছে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে ১৫ বছরের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা। তবে মেয়র পদে কার্যত বড় দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি- এমন কথা বলছেন নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটাররা।
শেষ মুহূর্তে জটিল হচ্ছে ভোটের অঙ্ক: কুসিক নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহূর্তে ভোটের অঙ্ক আরো জটিল হচ্ছে। সরেজমিন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। সাধারণ মানুষের মতে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা ছিল প্রায় সমানে-সমান। তবে এবারের ভোটের অঙ্কের হিসাব শুধু একজন মেয়র নির্বাচিত করা নয়, এর ফল স্থানীয় রাজনীতির মানচিত্রেও বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে। এ সম্ভাবনা কিংবা আশঙ্কা ঘিরেই নির্বাচনের নেপথ্যের কুশীলবরা ভোটের অঙ্ক কষছেন চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই। বিশেষ করে এ নির্বাচন উভয় প্রার্থী ও দলের জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে সামনে চলে এসেছে।
সাক্কু ও সীমার বক্তব্য:বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু তার নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাদের প্রভাবের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার আবারও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে ইসি এ সিটিকে সেমি ক্যান্টনমেন্টের মতো করে হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করবে একথা বলেছে। সাক্কু বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে পুলিশ, র্যাব কিছুই চাই না। আমি শুধু চাই সিটির জনগণ যেন কেন্দ্রে গিয়ে নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, এখানে নির্বাচনের সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। দলীয় নেতাদের প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, তার (সাক্কু) অভিযোগ সঠিক নয়। নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চান।
নৌকার প্রার্থীকে জাপার সমর্থন: কুসিক নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকার প্রার্থী সীমাকে সমর্থন দিয়েছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ)। মঙ্গলবার বিকালে নগরীর লাগোয়া আলেখারচর এলাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ সমর্থনের কথা জানান জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সাল চিশতি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাপার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বেগম রওশন আরা মান্নান এমপি প্রমুখ।
গণসংযোগ: গতকাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাউকে কুসিক এলাকায় দেখা যায়নি। প্রচারণার শেষ দিনে আঞ্জুম সুলতানা সীমা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নগরীর বাখরাবাদ, গোবিন্দপুর, অশোকতলা, বিসিক শিল্পনগরী, মনোহরপুর, বাগিচাগাঁও, তালপুকুরপাড়, পালবাড়ি এলাকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় নৌকার পক্ষে কুমিল্লা ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বিশাল মিছিল বের করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিলে মিছিলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নগরীর রানীরবাজার, মনোহরপুর, দক্ষিণ চর্থা, রেইসকোর্স, ঠাকুরপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিকালে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নগরীর নানুয়ার দিঘীর পাড়স্থ বাসভবনে বৈঠক করেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে খাল খননের নামে চলছে হরিলুট, মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়!

কাল ভোট, নিরাপত্তার চাদরে কুমিল্লা

আপডেট সময় ০৮:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
রাত পোহালেই শুরু হবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে এ ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। আজ বুধবার নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৩টি ভোট কেন্দ্রের ৬২৮টি বুথের জন্য ভোটের বাক্স পৌঁছানোর সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। এছাড়া এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, নির্বিঘ্ন ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন পুরো নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে। নিযুক্ত করা হয়েছে পুলিশ-র্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ সহস্রাধিক সদস্য।
এদিকে প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে গতকাল মঙ্গলবার প্রার্থীদের পক্ষে নগরীর কেন্দ্রস্থল কান্দিরপাড়সহ আনাচে-কানাচে ব্যাপক গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণসহ স্লোগানে আর মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে বিভিন্ন এলাকা। তবে কমিশনের নির্দেশনার পর কেন্দ্রীয় নেতা/বহিরাগতরা কুসিক এলাকা ছেড়ে যাওয়ায় গতকাল মেয়র পদে দুই দলের প্রার্থী ও তাদের নেতা-কর্মীরা দিনভর গণসংযোগ করেন।
অদৃশ্য শঙ্কায় সীমা ও সাক্কু: নির্বাচনটা নৌকা বনাম ধানের শীষ প্রতীকের হলেও  প্রতীকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রার্থীর নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আর পরিচিতিও, দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজনও প্রভাবিত করতে চলেছে নির্বাচনকে। তাই অদৃশ্য শঙ্কায় রয়েছেন উভয় দলের প্রার্থী। আগামীকাল অনুষ্ঠেয় কুসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করছেন মনিরুল হক সাক্কু। তিনি কুসিকের প্রথম মেয়র। ২০১২ সালে এ সিটির প্রথম   নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির কারণে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। তাই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী সীমার বাবা আফজল খানের সঙ্গে লড়ে জিতেছিলেন। এবার তার সঙ্গে দলীয় প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তারও রয়েছে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে ১৫ বছরের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা। তবে মেয়র পদে কার্যত বড় দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি- এমন কথা বলছেন নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভোটাররা।
শেষ মুহূর্তে জটিল হচ্ছে ভোটের অঙ্ক: কুসিক নির্বাচন ঘিরে শেষ মুহূর্তে ভোটের অঙ্ক আরো জটিল হচ্ছে। সরেজমিন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলাপ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। সাধারণ মানুষের মতে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা ছিল প্রায় সমানে-সমান। তবে এবারের ভোটের অঙ্কের হিসাব শুধু একজন মেয়র নির্বাচিত করা নয়, এর ফল স্থানীয় রাজনীতির মানচিত্রেও বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে। এ সম্ভাবনা কিংবা আশঙ্কা ঘিরেই নির্বাচনের নেপথ্যের কুশীলবরা ভোটের অঙ্ক কষছেন চুলচেরা বিশ্লেষণ করেই। বিশেষ করে এ নির্বাচন উভয় প্রার্থী ও দলের জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে সামনে চলে এসেছে।
সাক্কু ও সীমার বক্তব্য:বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু তার নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাদের প্রভাবের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার আবারও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে ইসি এ সিটিকে সেমি ক্যান্টনমেন্টের মতো করে হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু করবে একথা বলেছে। সাক্কু বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে পুলিশ, র্যাব কিছুই চাই না। আমি শুধু চাই সিটির জনগণ যেন কেন্দ্রে গিয়ে নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, এখানে নির্বাচনের সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। দলীয় নেতাদের প্রভাবের বিষয়ে তিনি বলেন, তার (সাক্কু) অভিযোগ সঠিক নয়। নৌকার পক্ষে গণজোয়ার দেখে তিনি বিভিন্ন অভিযোগ তুলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চান।
নৌকার প্রার্থীকে জাপার সমর্থন: কুসিক নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌকার প্রার্থী সীমাকে সমর্থন দিয়েছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ)। মঙ্গলবার বিকালে নগরীর লাগোয়া আলেখারচর এলাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ সমর্থনের কথা জানান জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সাল চিশতি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাপার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বেগম রওশন আরা মান্নান এমপি প্রমুখ।
গণসংযোগ: গতকাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাউকে কুসিক এলাকায় দেখা যায়নি। প্রচারণার শেষ দিনে আঞ্জুম সুলতানা সীমা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নগরীর বাখরাবাদ, গোবিন্দপুর, অশোকতলা, বিসিক শিল্পনগরী, মনোহরপুর, বাগিচাগাঁও, তালপুকুরপাড়, পালবাড়ি এলাকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। সন্ধ্যায় নৌকার পক্ষে কুমিল্লা ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের বিশাল মিছিল বের করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিলে মিছিলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে।
অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নগরীর রানীরবাজার, মনোহরপুর, দক্ষিণ চর্থা, রেইসকোর্স, ঠাকুরপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। বিকালে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নগরীর নানুয়ার দিঘীর পাড়স্থ বাসভবনে বৈঠক করেন।