ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকের বন্ধু যখন ড্রোন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:

দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে কৃষি উত্পাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সেখানে একটি লেবুর বাগানে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা তুরাই মাদুনা। বাগানটির বেশির ভাগ লেবুই রপ্তানি হয় মধ্যপ্রাচ্যে। বাকিটা চলে যায় স্থানীয় সুপার মার্কেটে। ইদানীং সেখানে মাথার উপর দিয়ে নিয়মিত উড়ে যায় চালকবিহীন বিমান বা ‘ড্রোন’। মনে হয় যেন বড় ধরনের একটা মাছি ভন ভন করে উড়ে গেল।

ড্রোনটি পুরো বাগানের ওপরে নজরদারি করছে। ফার্স্ট ফ্রুট গ্রুপ নামের এই বাগানটির প্রধান নির্বাহী হাইন গার্বার বলেন, সাধারণত আপনার যতদূর চোখ যাবে আপনি তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সময়েরও একটা ব্যাপার আছে। এই দু’টি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনি দিনে আপনার বাগানের নির্দিষ্ট কতটুকুর উপর নজর রাখতে পারবেন। এমন হতে পারে বাগানের অন্য কোনো অংশে আপনার যাওয়া হলো না আর সেখানে কোনো সমস্যা হয়ে গেল। সেই সমস্যারই সমাধান করছে ড্রোন। আপনি নিজে কিছু টের না পেলেও উড়ে উড়ে পুরো বাগানোর উপর নজর রাখছে যন্ত্রটি।

কিন্তু কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধির সঙ্গে ড্রোনের কি সম্পর্ক? দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রযুক্তির উদ্যোক্তারা বলছেন, হয়ত খামারের বেড়া কোথাও ভেঙে গেল, কোথায় পানি কমে গিয়ে ফসল শুকিয়ে গেছে, খামারের কোন অংশে ফসল কম হয়েছে অথবা কোথায় মাটির চেহারা পরিবর্তন হয়েছে এর সবই উঠে আসবে ড্রোনের  তোলা ছবি থেকে তৈরি রিপোর্টে। এরপর সে সম্পর্কিত প্রতিদিনের ডাটা আপনি পাবেন কম্পিউটারে। গার্বার বলেন, ড্রোন ব্যবহার করে বেশ উপকৃত হচ্ছে তার ফার্ম।

ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলের কৃষি খামারগুলোকে ড্রোন সেবা দিয়ে থাকে অ্যারোবেটিকস নামের একটি কোম্পানি। ড্রোন থেকে তোলা ছবি তারাই বিশ্লেষণ করে। এই কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী জেমস প্যাটারসন বলেন, এই মুহূর্তে মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করা এই অঞ্চলের জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলে এই মুহূর্তে খরা বিরাজ করছে। বাগানগুলোয় তাই সঠিকভাবে সেচ ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করছে। যেমন ধরুন কোনো অংশে কম সেচ দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ের উপর নজর রাখা যায়। ফসলের উত্পাদন কোথায় কতটা হলো তা বোঝা যায়। আমরা কোনো কিছু সমস্যা হয়ে ওঠার আগেই ধরতে পারছি। আর খামারিরা মোবাইল ফোনে অ্যাপ দিয়ে নিজেরাও যাতে এসব ড্রোন পরিচালনা করতে পারেন সে ব্যবস্থাও চালু করার চেষ্টা চলছে। ড্রোনের ব্যবহার আফ্রিকার কৃষির চেহারা বদলে দেবে এমন মনে করা হচ্ছে। ড্রোনের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের কাছে কৃষিকে আকর্ষণীয় করে তুলবে এমন মনে করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিকে বলাই হচ্ছে স্মার্ট ফার্মিং।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

কৃষকের বন্ধু যখন ড্রোন

আপডেট সময় ১১:৩৪:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:

দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে কৃষি উত্পাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সেখানে একটি লেবুর বাগানে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা তুরাই মাদুনা। বাগানটির বেশির ভাগ লেবুই রপ্তানি হয় মধ্যপ্রাচ্যে। বাকিটা চলে যায় স্থানীয় সুপার মার্কেটে। ইদানীং সেখানে মাথার উপর দিয়ে নিয়মিত উড়ে যায় চালকবিহীন বিমান বা ‘ড্রোন’। মনে হয় যেন বড় ধরনের একটা মাছি ভন ভন করে উড়ে গেল।

ড্রোনটি পুরো বাগানের ওপরে নজরদারি করছে। ফার্স্ট ফ্রুট গ্রুপ নামের এই বাগানটির প্রধান নির্বাহী হাইন গার্বার বলেন, সাধারণত আপনার যতদূর চোখ যাবে আপনি তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সময়েরও একটা ব্যাপার আছে। এই দু’টি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনি দিনে আপনার বাগানের নির্দিষ্ট কতটুকুর উপর নজর রাখতে পারবেন। এমন হতে পারে বাগানের অন্য কোনো অংশে আপনার যাওয়া হলো না আর সেখানে কোনো সমস্যা হয়ে গেল। সেই সমস্যারই সমাধান করছে ড্রোন। আপনি নিজে কিছু টের না পেলেও উড়ে উড়ে পুরো বাগানোর উপর নজর রাখছে যন্ত্রটি।

কিন্তু কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধির সঙ্গে ড্রোনের কি সম্পর্ক? দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রযুক্তির উদ্যোক্তারা বলছেন, হয়ত খামারের বেড়া কোথাও ভেঙে গেল, কোথায় পানি কমে গিয়ে ফসল শুকিয়ে গেছে, খামারের কোন অংশে ফসল কম হয়েছে অথবা কোথায় মাটির চেহারা পরিবর্তন হয়েছে এর সবই উঠে আসবে ড্রোনের  তোলা ছবি থেকে তৈরি রিপোর্টে। এরপর সে সম্পর্কিত প্রতিদিনের ডাটা আপনি পাবেন কম্পিউটারে। গার্বার বলেন, ড্রোন ব্যবহার করে বেশ উপকৃত হচ্ছে তার ফার্ম।

ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলের কৃষি খামারগুলোকে ড্রোন সেবা দিয়ে থাকে অ্যারোবেটিকস নামের একটি কোম্পানি। ড্রোন থেকে তোলা ছবি তারাই বিশ্লেষণ করে। এই কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী জেমস প্যাটারসন বলেন, এই মুহূর্তে মাটির আর্দ্রতা রক্ষা করা এই অঞ্চলের জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলে এই মুহূর্তে খরা বিরাজ করছে। বাগানগুলোয় তাই সঠিকভাবে সেচ ব্যবস্থাপনার চেষ্টা করছে। যেমন ধরুন কোনো অংশে কম সেচ দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ের উপর নজর রাখা যায়। ফসলের উত্পাদন কোথায় কতটা হলো তা বোঝা যায়। আমরা কোনো কিছু সমস্যা হয়ে ওঠার আগেই ধরতে পারছি। আর খামারিরা মোবাইল ফোনে অ্যাপ দিয়ে নিজেরাও যাতে এসব ড্রোন পরিচালনা করতে পারেন সে ব্যবস্থাও চালু করার চেষ্টা চলছে। ড্রোনের ব্যবহার আফ্রিকার কৃষির চেহারা বদলে দেবে এমন মনে করা হচ্ছে। ড্রোনের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের কাছে কৃষিকে আকর্ষণীয় করে তুলবে এমন মনে করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিকে বলাই হচ্ছে স্মার্ট ফার্মিং।