খেলাধূলা ডেস্কঃ
ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে কোপা দেলরের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। এদিকে দলে যোগ দিয়ে প্রথম গোলের দেখা পেলেন ফিলিপ কঠিনহো।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত স্পেনের কোপা দেলরের সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে কাতালান দলটি ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। দলের হয়ে অপর গোলটি করেছেন ইভান রাকিটিচ। ফলে হোম ও এ্যাওয়ে ম্যাচ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয়লাভ করেছিল প্রিমিয়ার লীগের শীর্ষ পয়েন্ট ধারীরা।
প্রথমার্ধে গোল খরায় থাকা ম্যাচের অচলাবস্থা ভেঙ্গে বার্সেলোনাকে প্রথম লীড এনে দেন গত মাসে লিভারপুল থেকে ১৬০ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সায় যোগ দেয়া ব্রাজিলীয় তারকা কঠিনহো। বদলী হিসেবে মাঠে নেমেই বাজিমাত করেন তিনি।
ম্যাচের সূচনা একাদশে বিস্ময়করভাবে জায়গা লাভে ব্যর্থ হয়েছিলেন এই ব্রাজিলীয়ান। তাকে বাইরে রেখে ওই স্থানে আন্দ্রে গোমেজকে জায়গা করে দিয়েছিলেন কোচ আর্নেস্টো ভালবার্দে। সময়মত হাঁটুর ইনজুরি কাটিয়ে ওই ম্যাচে যোগ দেন গেরার্ড পিকেও।
সমতায় থাকা ম্যাচে বিরতির সময় সাইডলাইন থেকে দলে যোগ দেন কোঠিনহো। চার মিনিটের মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়ে দেন এই ব্রাজিলীয়। ৪৯তম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে দেন এই মিডফিল্ডার (১-০)। সুয়ারেজেরই আরেকটি যোগান থেকেই ৮২তম মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন রাকিটিচ (২-০)। এই জয়ের ফলে ফাইনালে সেভিয়ার মোকাবেলা করবে বার্সেলোনা। অপর সেমিফাইনালে লেগানেসের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে সেভিয়া। এর আগে ২০১৬ সালেও ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এই ক্লাব দুটি।
পঞ্চমবারের মতো মাঠে নেমে প্রথম গোলের দেখা পাওয়া কোঠিনহো খেলা শেষে বলেন, এটি একটি দারুণ সুখের দিন। আগের ম্যাচ কটিতেও আমি গোলের খোঁজ করছিলাম। শেষ পর্যন্ত আজ আমি সফল হয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি এই গোলটি পেয়েছি। যে গোলের মাধ্যমে দল পেয়েছে ফাইনালের টিকিট। এটি আমার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। এটি ছিল খুবই কঠিন এবং অসাধারণ একটি ম্যাচ।