ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গর্ভবতী হয়ে বিয়ে করা কি জায়েজ? জেনে নিন ইসলাম কি বলে

ধর্ম ও জীবন ডেস্ক রির্পোটঃ

সন্তান প্রসব করার পরেই তাঁর জন্য বিয়ে জায়েজ রয়েছে। তিনি তখন বিয়েতে বসতে পারবেন বা বিয়েতে রাজি হতে পারবেন। অন্যথায় তাঁর এ বিয়েটা শুদ্ধ নয়।

কোন মহিলা প্রেগনেন্ট (গর্ভবতী) হয়ে বিয়ে করলে সেটা কি ইসলামে জায়েজ? ‍মুসলমান হয়েও আমরা অনেকে এর সঠিক বিধান জানি না। তাহলে পাঠক চলুন জেনে নেয়া যাক।

আসলে এ বিয়ে জায়েজ নয়। এ অবস্থায় যদি কারো বিয়ে হয়, তাহলে শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়েটি ফাসেদ বা বাতিল একটি বিয়ে হবে।

শরিয়াহ এ বিয়েকে অনুমোদন করে না। এটি নাজায়েজ। তাই তিনি যদি প্রেগনেন্ট অবস্থায় থাকেন, তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত তার বিয়ে জায়েজ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সন্তান প্রসব না করবেন। সন্তান প্রসব করার পরেই তাঁর জন্য বিয়ে জায়েজ রয়েছে। তিনি তখন বিয়েতে বসতে পারবেন বা বিয়েতে রাজি হতে পারবেন। অন্যথায় তাঁর এ বিয়েটা শুদ্ধ নয়।

আর এ প্রেগনেন্সির কারণ যদি ওই পুরুষ এবং মহিলা নিজেরাই হয়ে থাকেন অর্থাৎ বিয়ের আগেই যদি তাঁরা এ অন্যায় কাজটি করে ফেলেন, তাহলে তাঁদেরও সন্তান প্রসব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যথায় বিয়ে তো হবে না। শরিয়াহ তাঁদের এ বিয়ে অনুমোদন করবে না, অর্থাৎ সে বিয়ে গ্রহণযোগ্য হবে না।

তবে তাঁরা অপেক্ষা করবেন। সন্তান প্রসব হওয়ার পরই কেবল শরিয়াহ অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে হতে পারে। সে ক্ষেত্রেই শুধু তাদের একটি সুযোগ থাকবে, তা হলো এই সন্তানকে তাঁরা স্বীকার করে নেবেন। অর্থাৎ বিয়ের সময় স্বামী এ সন্তানটিকে স্বীকার করে নেবেন। তাহলে এ সন্তানকে তাঁদের সন্তান হিসেবে শরিয়াহ অনুমোদন দেবে।

ট্যাগস

মুরাদনগরে ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোর নিহত

গর্ভবতী হয়ে বিয়ে করা কি জায়েজ? জেনে নিন ইসলাম কি বলে

আপডেট সময় ০৪:০৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৬
ধর্ম ও জীবন ডেস্ক রির্পোটঃ

সন্তান প্রসব করার পরেই তাঁর জন্য বিয়ে জায়েজ রয়েছে। তিনি তখন বিয়েতে বসতে পারবেন বা বিয়েতে রাজি হতে পারবেন। অন্যথায় তাঁর এ বিয়েটা শুদ্ধ নয়।

কোন মহিলা প্রেগনেন্ট (গর্ভবতী) হয়ে বিয়ে করলে সেটা কি ইসলামে জায়েজ? ‍মুসলমান হয়েও আমরা অনেকে এর সঠিক বিধান জানি না। তাহলে পাঠক চলুন জেনে নেয়া যাক।

আসলে এ বিয়ে জায়েজ নয়। এ অবস্থায় যদি কারো বিয়ে হয়, তাহলে শরিয়াহ অনুযায়ী বিয়েটি ফাসেদ বা বাতিল একটি বিয়ে হবে।

শরিয়াহ এ বিয়েকে অনুমোদন করে না। এটি নাজায়েজ। তাই তিনি যদি প্রেগনেন্ট অবস্থায় থাকেন, তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত তার বিয়ে জায়েজ নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি সন্তান প্রসব না করবেন। সন্তান প্রসব করার পরেই তাঁর জন্য বিয়ে জায়েজ রয়েছে। তিনি তখন বিয়েতে বসতে পারবেন বা বিয়েতে রাজি হতে পারবেন। অন্যথায় তাঁর এ বিয়েটা শুদ্ধ নয়।

আর এ প্রেগনেন্সির কারণ যদি ওই পুরুষ এবং মহিলা নিজেরাই হয়ে থাকেন অর্থাৎ বিয়ের আগেই যদি তাঁরা এ অন্যায় কাজটি করে ফেলেন, তাহলে তাঁদেরও সন্তান প্রসব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অন্যথায় বিয়ে তো হবে না। শরিয়াহ তাঁদের এ বিয়ে অনুমোদন করবে না, অর্থাৎ সে বিয়ে গ্রহণযোগ্য হবে না।

তবে তাঁরা অপেক্ষা করবেন। সন্তান প্রসব হওয়ার পরই কেবল শরিয়াহ অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে হতে পারে। সে ক্ষেত্রেই শুধু তাদের একটি সুযোগ থাকবে, তা হলো এই সন্তানকে তাঁরা স্বীকার করে নেবেন। অর্থাৎ বিয়ের সময় স্বামী এ সন্তানটিকে স্বীকার করে নেবেন। তাহলে এ সন্তানকে তাঁদের সন্তান হিসেবে শরিয়াহ অনুমোদন দেবে।