ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একাধিক ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনি সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে হামলায় আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। শরণার্থী শিবিরের ভেতরে জাবালিয়া সার্ভিসেস ক্লাবের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ১২টি বাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।

বেশ কয়েকদিন ধরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলা চালালেও ইসরায়েল বরাবরের মতোই দাবি করে আসছে যে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করছে তারা। যদিও ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোক।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে (নভেম্বর) টানা তিনদিন জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ইসরায়েল। সেই হামলার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, জাবালিয়ায় ১৯৫ জন নিহত ও আরও ১২০ জন নিখোঁজ হন। প্রায় একই সময় গাজার বুরেজ শরণার্থী শিবিরে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় নিয়মিতই হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে গাজায় থাকা কোনো অবকাঠামোই বাদ যাচ্ছে না। মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক লোকজনের ঘরবাড়ি সর্বত্র হামলা চালিয়ে আসছে তারা। বিশ্ব গণমাধ্যমের খবরে এসেছে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শিশু রয়েছে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি এবং নারীর সংখ্যা তিন হাজারের বেশি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ৩১

আপডেট সময় ০৩:২৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একাধিক ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনি সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে হামলায় আরও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। শরণার্থী শিবিরের ভেতরে জাবালিয়া সার্ভিসেস ক্লাবের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ১২টি বাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়।

বেশ কয়েকদিন ধরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে হামলা চালালেও ইসরায়েল বরাবরের মতোই দাবি করে আসছে যে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করছে তারা। যদিও ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক লোক।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে (নভেম্বর) টানা তিনদিন জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ইসরায়েল। সেই হামলার পর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, জাবালিয়ায় ১৯৫ জন নিহত ও আরও ১২০ জন নিখোঁজ হন। প্রায় একই সময় গাজার বুরেজ শরণার্থী শিবিরে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হন।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজার অভ্যন্তরে শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় নিয়মিতই হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে গাজায় থাকা কোনো অবকাঠামোই বাদ যাচ্ছে না। মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক লোকজনের ঘরবাড়ি সর্বত্র হামলা চালিয়ে আসছে তারা। বিশ্ব গণমাধ্যমের খবরে এসেছে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শিশু রয়েছে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি এবং নারীর সংখ্যা তিন হাজারের বেশি।